মামলা ছিল সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের। মামলা তুলে নেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছিল সরকার পক্ষই! আবেদন মঞ্জুর করল আদালত। থানায় হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ থেকে রেহাই পেয়ে গেলেন তৃণমূল নেতা ও তাঁর সঙ্গীরা।
একটি দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২০১০ সালের ৪ অক্টোবর রাতে চারু মার্কেট থানায় একদল লোক হামলা চালায়। থানার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। ওই হামলার ঘটনায় এফআইআর দায়ের করেন থানার তৎকালীন অতিরিক্ত ওসি অশোক সরকার। ঘটনার তদন্তে টালিগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক (অধুনা মন্ত্রী) অরূপ বিশ্বাসের ভাই স্বরূপ-সহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় পুলিশ। ওই ঘটনায় যুব তৃণমূল নেতা স্বরূপকে গ্রেফতারও করা হয়। পরে জামিনে মুক্তি পান তিনি। সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর-সহ বেশ কয়েকটি জামিন অযোগ্য ধারা দেওয়া হয় স্বরূপ-সহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে। তার মধ্যে চার জন এখনও পলাতক। দুই অভিযুক্তের মৃত্যু হয়েছে। আলিপুর আদালত সূত্রের খবর, রাজ্য আইন দফতরের সুপারিশ অনুযায়ী ওই মামলা তুলে নেওয়ার জন্য জেলা বিচারকের কাছে আবেদন করেছিলেন মুখ্য সরকারি কৌঁসুলি রাধাকান্ত মুখোপাধ্যায়।
সরকারি কৌঁসুলি রাধাকান্তবাবু বলেন, ‘‘ওই মামলা অভিযুক্তেরা সকলে শাসক দলের সমর্থক। এমনকী, ঘটনার সাক্ষীরাও শাসক দলের সমর্থক ও স্থানীয় নেতা। মামলার সব সাক্ষী সকলে একই সুরে সাক্ষ্য নথিভূক্ত করেছেন। মামলায় কোনও সারবত্তা নেই। চার্জও গঠন করা হয়নি।’’ তাঁর আরও ব্যাখ্যা, একটি দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে থানায় হামলা হয়েছিল। কোনও পূর্ব পরিকল্পনা ছিল না। সরকারি কৌঁসুলির আর্জির প্রেক্ষিতেই সোমবার অতিরিক্ত দায়েরা বিচারক দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় মামলা তুলে নেওয়ার আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
আইনজীবী মহলের একাংশের বক্তব্য, সাঁইবাড়ি মামলা বাম আমলে আদালতে খারিজ হয়ে যাওয়ার পরেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এসে সেই ঘটনায় ফের কমিশন করেছিল। এখন আবার সেই সরকারই আগের আমলে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের মামলা প্রত্যাহার করে নিল!