‘সরকারি টাকার অপচয় রোধের অপব্যাখ্যা হচ্ছে’, কাটমানি-বার্তা নিয়ে দাবি মমতার

কাটমানি নিয়ে গ্রিভান্স সেলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী নজরুল মঞ্চের বৈঠকে দলীয় প্রতিনিধিদের টাকা ফেরানোর কথা বলার পরে। ওই বৈঠক হয় ১৮ জুন। এ দিন বিধানসভায় তিনি দাবি করেন, তাঁর ওই নির্দেশের অপব্যাখ্যা করা হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০১৯ ০১:৪৮
Share:

রাজ্যের রাজনৈতিক হিংসার জন্য পুলিশকে দায়ী করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

তোলাবাজি ও কাটমানির (বখরা) টাকা আদায়ের দাবি-সহ বিভিন্ন অভিযোগ জানানোর গ্রিভান্স সেলে এ পর্যন্ত প্রায় ৬ হাজার নালিশ জমা পড়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার বিধানসভায় জানান। তিনি বলেন, ‘‘১০ জুন থেকে ওই গ্রিভান্স সেল কাজ করছে। জমা পড়া নালিশের ৬০ শতাংশের কাজ ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে।’’

Advertisement

কাটমানি নিয়ে গ্রিভান্স সেলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী নজরুল মঞ্চের বৈঠকে দলীয় প্রতিনিধিদের টাকা ফেরানোর কথা বলার পরে। ওই বৈঠক হয় ১৮ জুন। এ দিন বিধানসভায় তিনি দাবি করেন, তাঁর ওই নির্দেশের অপব্যাখ্যা করা হচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘‘আমার দলকে শাসন করতেই পারি। দলকে নির্দেশিকা দিতে গিয়ে যাতে সরকারি প্রকল্পের টাকা অপচয় না হয়, সেটা বলেছিলাম। কিন্তু অপপ্রচার হচ্ছে। যাঁরা এ সব বিকৃত করছেন, আসুন এ সব ছেড়ে সবাই মিলে জনগণকে সাহায্য করি।’’

মমতা বলেন, ‘‘অন্যায়টা অন্যায়ই। আসুন উচ্চ ভাবনায় থেকে সাধারণ জীবনযাপন করার চেষ্টা করি।’’ টাকা ফেরতের দাবিতে যে ভাবে কোথাও কোথাও রক্তাক্ত-বিক্ষোভ হচ্ছে, তা থেকে মানুষকে নিরস্ত করার আহ্বানও জানান তিনি। বলেন, ‘‘আইন কেউই নিজের হাতে তুলে নেবেন না। আমিও নেব না। কারও অভিযোগ থাকলে জানান। গ্রিভান্স সেল কাজ করবে। ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ এই সূত্রেই তাঁর মন্তব্য, সাধুদের মধ্যেও খারাপ লোক থাকে। সব পেশাতেই কিছু মন্দ মানুষ থাকেন। তাঁর দলও এর বাইরে নয়। তাঁর দলের কারা কাটমানি নিয়েছেন, তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি তুলেছিলেন বিরোধীরা। তার কোনও জবাব না মেলায় বিরোধী দুই নেতা আব্দুল মান্নান এবং সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘উনি স্পষ্ট জবাব না দিলেও প্রতারিত মানুষ টাকা চাইবেনই। সেই টাকা কী ভাবে ফেরত দেওয়া যায়, তা বরং ভাবুন।’’

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের বক্তব্য, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী তো মেনে নিচ্ছেন, রাজ্যের নেতা-মন্ত্রীরা কাটমানি নিয়েছেন। তিনি তো সংবাদমাধ্যমের সামনেই যা বলার বলেছিলেন। এখন ঢোক গিলে লাভ নেই।’’

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন