স্বাস্থ্য শিক্ষা, বা গ্রামের রাস্তা—অনেক পথ চলা এখনও বাকি পশ্চিমবঙ্গের। বিভিন্ন ক্ষেত্রে জাতীয় গড়ে খুব পিছিয়ে না থাকলেও শীর্ষে থাকা রাজ্যগুলির থেকে কিন্তু ব্যবধান অনেকটাই বেশি।
পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বাতিল করে চলতি অার্থিক বছর থেকে নতুন ধাঁচে তিন-বছরি পরিকল্পনা তৈরি করতে গিয়ে নীতি আয়োগ মনে করছে, কৃষকদের জন্য সংস্কার বা স্কুল শিক্ষার মানের সূচকে প্রথম সারিতে থাকা রাজ্যগুলির চেয়ে বেশ পিছিয়ে বাংলা। আয়োগের কর্তারা আগামী মাসে কলকাতা গিয়ে রাজ্য সরকারকে এ সব দিকে নজর বাড়াতে বলবেন।
গত রবিবার নীতি আয়োগের পরিচালন পর্ষদের বৈঠক ডেকেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। রাজ্যের কেউ বৈঠকে ছিলেন না। আয়োগের সিইও অমিতাভ কান্ত তাঁর রিপোর্টে দেখান, নবজাতকের মৃত্যু হার ও প্রসবকালীন মৃত্যুহার সবচেয়ে কম কেরলে। তার থেকে পশ্চিমবঙ্গ অনেকটাই পিছিয়ে। রাজ্যের আরও উন্নতির পথে বাধা হল জনসংখ্যার অনুপাতে ডাক্তার বা হাসপাতালের বেডের সংখ্যা। রাজ্যে প্রতি হাজার জনে ডাক্তারের সংখ্যা এক জনেরও কম। হাজার জনের জন্য দু’টি বেডও বরাদ্দ নেই।
আরও পড়ুন: বাতিল নোটে এখন হস্তশিল্প
পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের পড়া ও বোঝা, অঙ্কের স্কোরে পশ্চিমবঙ্গ মাঝারি সারির রাজ্য। জাতীয় গড়ের থেকেও পিছিয়ে। অনেক এগিয়ে রয়েছে কেরল, তামিলনাড়ু। বিভিন্ন ক্ষেত্রে নীতি আয়োগ ১০০টি জেলাকে চিহ্নিত করেছে, যাদের ইতিমধ্যে হাল শোধরানো প্রয়োজন। গ্রামীণ সড়কের দিক থেকে নীতি আয়োগ রাজ্যের পাঁচটি জেলাকে চিহ্নিত করেছে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগণা— এই পাঁচটি জেলায় এখনও অনেক গ্রামে সড়কপথে সংযোগ নেই।