Migrant Labourer

কী ভাবে কোয়রান্টিন, জটে ফেরত শ্রমিকেরা

দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর থেকে রেললাইন ধরে হেঁটে মালদহে ফেরার চেষ্টা করছিলেন এক দল শ্রমিক।

Advertisement

সন্দীপন চক্রবর্তী ও বাপি মজুমদার

কলকাতা ও চাঁচল শেষ আপডেট: ১১ মে ২০২০ ০৪:২১
Share:

ইছাপুর স্টেশন চত্তরে মালদার শ্রমিকরা(বাঁ দিকে)।—ফাইল চিত্র।

জেলার বাইরে থেকে ফিরে আসা শ্রমিকদের কোয়রান্টিনের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়ে প্রশাসনের উপরে চাপ বাড়াচ্ছে কংগ্রেস। যে সামান্য পরিসরে স্বল্প আয়ের শ্রমিকদের বাড়িতে থাকতে হয়, সেখানে হোম কোয়রান্টিনে স্বাস্থ্যবিধি মানা সম্ভব কি না, সেই প্রশ্ন তুলে বিষয়টিতে নজর দেওয়ার জন্য মালদহের জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্রকে চিঠি দিয়েছেন সাংসদ এবং প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি আবু হাসেম (ডালু) খান চৌধুরী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও চিঠি দিয়ে বাইরে থেকে ফেরা শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও কোয়রান্টিনের বিষয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন তিনি। কোয়রান্টিন ঘিরে সমস্যা ফের সামনে এসেছে সোনারপুর থেকে এক দল শ্রমিক হরিশ্চন্দ্রপুরে ফেরার পরে।

Advertisement

দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর থেকে রেললাইন ধরে হেঁটে মালদহে ফেরার চেষ্টা করছিলেন এক দল শ্রমিক। ইছাপুরে তাঁদের আটকে হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক মোস্তাক আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করেন কংগ্রেস কর্মীরা। জেলা প্রশাসনের অনমুতি নিয়ে বিধায়ক গাড়ি পাঠান ইছাপুরে, সেই গাড়িতেই হরিশ্চন্দ্রপুর ফেরেন শ্রমিকেরা। সুলতান নগরের চকসাতন গ্রামের বাসিন্দা ওই শ্রমিকদের স্থানীয় উদ্যোগেই কোয়রান্টিনে রাখা হয়েছে। কিন্তু তাঁদের খাবার দিয়ে যেতে হচ্ছে বাড়ির লোকজনকে। শ্রমিকেরা প্রশ্ন তুলেছেন, বাড়ি থেকে খাবার আনাতে হলে তাঁরা বাড়িতেই থাকবেন না কেন? আর মালদহ জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ আলমের প্রশ্ন, ‘‘এই ধরনের পরিবারে হোম কোয়রান্টিনে থাকতে দিলে স্বাস্থ্যবিধি কী ভাবে মানা হবে? আর বাড়ির লোকজন গিয়ে খাবার দিয়ে এলে লকডাউন, কোয়রান্টিন কোনও ব্যবস্থারই তো অর্থ থাকে না!’’

এই পরিস্থিতিতে দাবি উঠেছে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়রান্টিন ফের ঠিকমতো চালু করার। চাঁচলের মহকুমাশাসক সব্যসাচী রায় জানাচ্ছেন, স্থানীয় মানুষ অনেক ক্ষেত্রে এলাকার স্কুলবাড়িতে কোয়রান্টিনের ব্যবস্থা করছেন। কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক কোয়রান্টিনের ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।

Advertisement

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন