West Bengal Lockdown

হেঁটেই যাবেন বাড়ি, বলছেন শ্রমিকেরা 

মহারাষ্ট্র জুড়েই মালদহের অনেক শ্রমিকের বাস। তাঁরা মূলত নির্মাণকাজের সঙ্গে যুক্ত।

Advertisement

জয়ন্ত সেন 

মালদহ শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২০ ০৫:১৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

কাজের খোঁজে তাঁরা গিয়েছিলেন মুম্বইয়ে। গত তিন সপ্তাহ লকডাউনে তাঁদের না আছে কাজ, না হাতে টাকাপয়সা। মঙ্গলবার বিকেলে বাড়ি ফেরার জন্য মরিয়া সেই শ্রমিকেরাই গিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন মুম্বইয়ের বান্দ্রা স্টেশন সংলগ্ন বাসস্ট্যান্ডে। ছিলেন দেশের অন্য প্রান্তের শ্রমিকেরাও।

Advertisement

ওই শ্রমিকদের দাবি, তাঁরা সকলেই কপর্দকশূন্য। বেশিরভাগই অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছেন। সকলেই বলছেন, বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে আবেদন করা সত্ত্বেও বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা তো দূর, খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়নি। তারপর মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বক্তৃতায় পরিযায়ী শ্রমিকদের ব্যাপারে কোনও উচ্চবাচ্য করা হয়নি বলেই বিকেলে তাঁরা বিক্ষোভ দেখান বলে জানান ওই শ্রমিকদের অনেকে। তাঁদের বক্তব্য, খাবার বা বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা না হলে বুধবার তাঁরা হেঁটেই বাড়ির দিকে রওনা দেবেন।

মহারাষ্ট্র জুড়েই মালদহের অনেক শ্রমিকের বাস। তাঁরা মূলত নির্মাণকাজের সঙ্গে যুক্ত। লকডাউনে বহুতল নির্মাণের কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাঁরা কর্মহীন। এ দিন যখন বিক্ষোভ দেখাতে তাঁরা বান্দ্রায় জড়ো হন, বিহারের অনেক শ্রমিকও তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন। বিক্ষোভে ছিলেন কালিয়াচক ২ ব্লকের ধল্লা গ্রামের বাসিন্দা আতাউর রহমান। ফোনে তিনি বলেন, ‘‘তিন সপ্তাহ ধরে লকডাউনে আমাদের শোচনীয় অবস্থা। খাবার জুটছে না। সরকারি ভাবে ত্রাণও মিলছে না। রাস্তায় বার হলে পুলিশ মারধর করছে। ভেবেছিলাম আমাদের মতো শ্রমিকদের জন্য প্রধানমন্ত্রী কোনও বার্তা দেবেন। কিন্তু তিনি কিছুই বলেননি। বরং লকডাউন ৩ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়।’’ আতাউরের কথায়, ‘‘এমনিতেই এখন খেতে পাচ্ছি না। আরও ১৯ দিন কী ভাবে কাটাব?’’

Advertisement

আরও পড়ুন: ৪০ দিন কেন লকডাউন, উত্তর মেলেনি

আতাউর এবং তাঁর সঙ্গীরা জানান, সে কারণে তাঁরা বিভিন্ন রাজ্যের শ্রমিকদের ডাকে বান্দ্রা স্টেশন সংলগ্ন বাসস্ট্যান্ডে জড়ো হন। আতাউর বলেন, ‘‘আমাদের একটাই দাবি, বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করা হোক।’’ বিক্ষোভে সামিল হন কালিয়াচক খালতিপুরের আব্দুল মোমিন, রশিদুল শেখ, জামশেদ আলিরা। তাঁরা বলেন, “সরকার ব্যবস্থা না করলে হেঁটেই রওনা দেব।”

আরও পড়ুন: করোনা-উদ্বেগে মেডিক্যাল কলেজ

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন