Lathicharge

লাঠি রুখতে ভরসা পোস্টার 

শুধু হরিশ্চন্দ্রপুরের সোয়েদ নয়, কোচবিহারে ওষুধ কিনতে বা উত্তর ২৪ পরগনায় বাজার করতেও একই ভাবে বুকে পোস্টার এঁটে বার হচ্ছেন লোকজন

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

চাঁচল শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২০ ০৫:৪৫
Share:

বাইকে পোস্টার। বাজার করে ফিরছেন মহম্মদ সোয়েদ। নিজস্ব চিত্র

মুখে মাস্ক। মোটরবাইকের সামনে পিচবোর্ড কেটে তাতে লেখা— ‘আমি আমার দেশকে ভালবাসি। সবাই লকডাউন মেনে চলুন।’ তার নীচে লেখা— ‘আমি বাজার করতে যাচ্ছি।’ এ ভাবেই পথে বেরিয়েছিলেন মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের কোনার এলাকার মহম্মদ সোয়েদ। রাস্তায় লোক নেই বললেই চলে। শুধুই লাঠি হাতে পুলিশ। বিনা কারণে রাস্তায় বার হওয়া বা ভিড় জমানো বাসিন্দাদের শায়েস্তা করছে পুলিশ। লাঠিপেটা বা কান ধরে ওঠবোসের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরালও হচ্ছে। অভিযোগ, পুলিশের ‘রোষে’র মুখে পড়তে হচ্ছে জরুরি কাজে বেরোনো অনেককেও।

Advertisement

তা এড়াতে শুধু হরিশ্চন্দ্রপুরের সোয়েদ নয়, কোচবিহারে ওষুধ কিনতে বা উত্তর ২৪ পরগনায় বাজার করতেও একই ভাবে বুকে পোস্টার এঁটে বার হচ্ছেন লোকজন। সোয়েদ এ দিন বলেন, ‘‘লকডাউন আমাদের কথা ভেবেই। কিন্তু অনেকেই তা মানছেন না। তাঁদের ঠেকাতে পুলিশের উদ্যোগ প্রশংসনীয়।’’ তাঁর কথায়, ‘‘কিন্তু জরুরি প্রয়োজনে অনেককেই বের হতে হচ্ছে। আমাকেও যেতে হচ্ছে। তাই আমি যে প্রয়োজনে বের হয়েছি, তা যাতে পুলিশের নজরে পড়ে, সে জন্যই মোটরবাইকের সামনে পোস্টার ঝুলিয়ে নিয়েছি।’’

যদিও প্রয়োজনে রাস্তায় বের হওয়া কাউকেই হেনস্থা করা হচ্ছে না বলে পুলিশ দাবি করেছে। তাদের বক্তব্য, অকারণে যাঁরা রাস্তায় নামছেন, তাঁদেরই শুরু শায়েস্তা করা হচ্ছে। চাঁচলের এসডিপিও সজলকান্তি বিশ্বাস বলেন, ‘‘জরুরি প্রয়োজনে কেউ বের হয়ে সমস্যায় পড়লে তাঁদের সাহায্য করা হচ্ছে। কিন্তু যাঁরা তা মানছেন না, অকারণে জমায়েত করছেন, তাঁদের জন্য কড়া পদক্ষেপ করতে হচ্ছে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন