Paschim Midnapore

মমতা মন্ত্রিসভায় পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রতিনিধি ১ থেকে বেড়ে ৪, পূর্ণমন্ত্রী মানস

সবংয়ের বিধায়ক মানস ভুঁইয়ার পাশাপাশি ডেবরার হুমায়ূন কবীর, কেশপুরের শিউলি সাহা এবং শালবনির শ্রীকান্ত মাহাতো মন্ত্রিসভায় রয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১০ মে ২০২১ ১৮:২২
Share:

শিউলি সাহা, হুমায়ুন কবীর, শ্রীকান্ত মাহাতো এবং মানস ভুঁইয়া। নিজস্ব চিত্র।

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা থেকে গত বিধানসভায় গত বার মাত্র ১ জন ছিলেন মমতা মন্ত্রিসভায়। এ বার নির্বাচনে বিপুল সাফল্যের পর জেলা থেকে ৪ জন মন্ত্রিসভায় জায়গা করে নিয়েছেন। এঁরা হলেন সবংয়ের বিধায়ক মানস ভুঁইয়া, ডেবরার হুমায়ূন কবীর, কেশপুরের শিউলি সাহা এবং শালবনির বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো। এঁদের মধ্যে মানস পূর্ণমন্ত্রী, হুমায়ুন স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী এবং শ্রীকান্ত ও শিউলি প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন। জেলার মন্ত্রীর সংখ্যা বাড়ায় খুশি পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা।

Advertisement

২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটের পরে পিংলার বিধায়ক সৌমেন মহাপাত্র ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা থেকে মন্ত্রিসভায় একমাত্র প্রতিনিধি। এ বার বিধানসভা নির্বাচনের কয়েকমাস আগে তাঁকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতির দায়িত্ব দেয় দল। তিনি পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জেতেন। সোমবার তিনি মন্ত্রীও হয়েছেন। সৌমেন ছাড়াও পূর্ব মেদিনীপুর থেকে স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন অখিল গিরি। অভিভক্ত মেদিনীপুর জেলার অংশ ঝাড়গ্রাম থেকে প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন বীরবাহা হাঁসদা।

২০১১ সালে মমতা মন্ত্রিসভায় পূর্ণমন্ত্রী হয়েছিলেন মানস। তখন তিনি ছিলেন জোট মন্ত্রিসভায় কংগ্রেসের প্রতিনিধি। এ বারই প্রথম সবং থেকে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে তিনি জয়ী হলেন। শিউলি এবং শ্রীকান্ত দু’জনেই ৩ বারের তৃণমূল বিধায়ক। তবে ২০১১-য় শিউলি জিতেছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়া থেকে।

Advertisement

আইপিএস আধিকারিক হুমায়ুন কয়েক মাস আগে পুলিশের চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে তৃণমূলে যোগদান করেন। ডেবরা কেন্দ্রে আরেক প্রাক্তন আইপিএস অফিসার, বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষকে পরাজিত করেন তিনি। প্রসঙ্গত, পশ্চিম মেদিনীপুরের ১৫টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে এ বার ১৩টিতেই জিতেছে তৃণমূল। বিজেপি জিতেছে ২টি কেন্দ্রে। যদিও ২০১৯ সালের বিধানসভা ভিত্তিক ফলাফলের হিসেবে তৃণমূল ৮ এবং বিজেপি ৭টি কেন্দ্রে এগিয়ে ছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন