ভোটে ভারতী! পয়লার মশকরা ঘিরে জল্পনা

রবিবাসরীয় সকালে হোয়াটসঅ্যাপে এমনই মেসেজ দেখে চমকে ওঠেন পশ্চিম মেদিনীপুরের এক তৃণমূল নেত্রী।

Advertisement

বরুণ দে

শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০১৮ ০৩:৪৭
Share:

—ফাইল চিত্র।

‘ভারতী ঘোষ আসছেন জেলা পরিষদে। জিতলে সভাধিপতি!’

Advertisement

রবিবাসরীয় সকালে হোয়াটসঅ্যাপে এমনই মেসেজ দেখে চমকে ওঠেন পশ্চিম মেদিনীপুরের এক তৃণমূল নেত্রী। জেলা পরিষদের সভাধিপতি পদটি তো সত্যি মহিলা (সাধারণ) সংরক্ষিত। তাহলে কি! ধন্দ কাটাতে সঙ্গে সঙ্গে নেত্রীর ফোন জেলা তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতাকে। তাঁর জিজ্ঞাসা, ‘‘দাদা, একি সত্যি?’’ সব শুনে শীর্ষ নেতার মন্তব্য, ‘‘ভুলভাল বকছিস! এত সকালে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস নেই যখন, উঠিস কেন!’’

বেলা গ়ড়াতেই অবশ্য স্পষ্ট হল ধাঁধা। এপ্রিলের পয়লা দিনে ছড়িয়েছে এমন রসিকতা।

Advertisement

শুধু জেলা তৃণমূলের ওই নেত্রী নন, এ দিন দিনভর এমন মেসেজ পেয়েছেন অনেকেই। হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুকে এই মেসেজ চালাচালি হয়েছে। মেসেজ যাঁরা পাঠিয়েছেন, তাঁদের কেউ শাসকদলের কর্মী, কেউ আবার শুধুই সমর্থক। এমন মেসেজ যে চালাচালি হয়েছে তা মানছেন তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি অজিত মাইতি। তাঁর কথায়, “হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুকে যা চলছে, হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরে যাচ্ছে। এটা শতাব্দীর সেরা রসিকতা!”

আরও পড়ুন: শিল্প সম্মেলন, মমতা অগস্টে আমেরিকায়

তবে এটা যে নিছকই হাসি-ঠাট্টা, শাসক দলের অনেকের তা এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না! জেলা পরিষদ সদস্যের কথায়, “নামটা ভারতী। তাই কেমন কেমন লাগছে!” অনেকে ফিরে যাচ্ছেন সাম্প্রতিক অতীতে। ভারতী যখন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা পুলিশ সুপার ছিলেন তখন তাঁর দাপটে ভয়ে কাঁটা হয়ে থাকতেন শাসকদলের তাবড় নেতা। তবে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পরে তিনি মমতার বৃত্ত থেকে অনেক দূরে। এক সময় ‘অপারেশন ভারতী’ শুরু হয়েছিল। এখন অবশ্য তাও কিছুটা শিথিল! পুলিশ মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা— তবে কি রাজ্য সরকারের সঙ্গে ভারতীর সমঝোতা হয়ে গিয়েছে!

এই পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণার পরই ভারতী প্রত্যাবর্তনের মেসেজ। জেলা তৃণমূলের এক নেতার কথায়, “যে যাই বলুক। এর থেকে বড় এপ্রিল ফুল আর হয় না।” তাঁকে নিয়ে এই মস্করার কথা ভারতীর কানেও পৌঁছেছে। জানা গিয়েছে, ঘনিষ্ঠমহলে ভারতীর মন্তব্য, ‘‘এ সব আবার কী!’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement