দার্জিলিং পাহাড় এবং তরাই-ডুয়ার্সে কি রোহিঙ্গাদের কয়েক জন এসে ডেরা বাঁধার চেষ্টা করছে? সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো এবং তার পর বিষয়টি নিয়ে পাহাড়ের প্রথম সারির নেতারা মুখ খোলায় চূড়ান্ত সংশয় তৈরি হয়েছে। গোপন ডেরায় বসে এই নিয়ে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে বার্তা দিলেন বিমল গুরুং। একই দিনে গোর্খা লিগের নেতা প্রতাপ খাতিও রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে সাবধান করে চিঠি দিলেন কালিম্পংয়ের জেলাশাসক ও কালিম্পং থানার আইসি-কে।
শুক্রবার বিমল গুরুংয়ের একটি বিবৃতি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ‘পোস্ট’ করেন রোশন গিরি। সেখানে গুরুং দাবি করেছেন, তাঁর কাছে দলের নিচুতলার কর্মীদের মারফত খবর পৌঁছেছে যে, উত্তরবঙ্গের পাহাড়-সমতলের কিছু এলাকায় অপরিচিত লোকজন বসবাস শুরু করেছেন। তাঁরা হিন্দিও ভাল করে বলতে পারেন না বলে দাবি গুরুংয়ের। তাঁর আশঙ্কা, কোনও রাজনৈতিক দল ভোটব্যাঙ্ক বাড়াতে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিচ্ছে।
প্রতাপ খাতি অবশ্য এমন অভিযোগ করেননি। তাঁর মতে, সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ভিডিয়োটি ঘুরছে, তা খতিয়ে দেখা উচিত পুলিশ-প্রশাসনের। তাঁর যুক্তি, রোহিঙ্গারা জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিপদ বলে তাঁদের পুনর্বাসন দিতে চায় না ভারত। তাই বিষয়টি প্রশাসনের গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত। তবে জিটিএ-র তত্ত্বাবধায়ক প্রধান বিনয় তামাং বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে চাননি। তিনি বলেন, ‘‘পাহাড়ে গুরুংয়ের অধ্যায় ফুরিয়েছে। আড়ালে বসে গোলমাল পাকানোর চেষ্টা করে লাভ হবে না।’’