অষ্টম শ্রেণি পাশ করলেই পিয়ন, হেল্পার বা সহায়কের পদে চাকরির জন্য আবেদন করা যায়। ওই সব পদে ন্যূনতম যোগ্যতামান সেটাই। অথচ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সেই কাজের জন্য আবেদন করেছেন বিটেক, এমটেক পাশ করা অনেক প্রার্থী, এমনকি গবেষকেরাও! এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন শিক্ষা শিবির।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, ৭০টি পদের জন্য আবেদন করেন প্রায় ১১ হাজার প্রার্থী। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন গবেষক, বিজ্ঞানের অনার্স উত্তীর্ণ, বিটেক ও এমটেক পড়ুয়ারা। তাঁরা লিখিত পরীক্ষাও দিয়েছেন। সেখান থেকে ৫০০ জনকে বেছে নেওয়া হয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্তা বলেন, ‘‘এমটেক, বিটেক পাশ করা ছেলেমেয়েরা ১৫ হাজার টাকার পিয়নের চাকরির জন্য আবেদন করেছেন, ভাবতেই খারাপ লাগছে।’’
চাকরিতে মন্দা। তাই বন্ধ হয়ে যেতে বসেছে বহু বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ। পিয়নের পদে উচ্চশিক্ষিতদের ভিড় চাকরি-মন্দারই প্রতিফলন বলে মনে করছেন শিক্ষা শিবিরের একটি অংশ। ওই শিবিরেরই অন্য অংশের বক্তব্য, এর আগে বৈদ্যুতিক চুল্লির ডোমের পদে আবেদনকারীদের মধ্যে ছিলেন স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারীরা। সে-দিক থেকে দেখতে গেলে পিয়ন-পদে বিটেক, এমটেক ডিগ্রিধারীদের আবেদন কোনও ব্যতিক্রম নয়।