দিলীপ ঘোষ।
জামাইরা সাবধান। পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা হতেই আরও অনেকের সঙ্গে জামাইদের সতর্ক করলেন দিলীপ ঘোষ। বললেন, ‘‘অন্য এলাকার লোক তো বটেই, এমনকি ভোটের দিন গ্রামের জামাইও যাতে গ্রামে ঢুকতে না পারে সেদিকে কড়া নজর রাখতে হবে।’’ একইসঙ্গে প্রতিরোধ গড়তে বাঁশে পালিশ দিয়ে দলের নেতা কর্মীদের তৈরি থাকতে বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তাঁর এই জোড়া নির্দেশে জোর বিতর্ক রাজনৈতিক মহলে৷
শনিবারই পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন৷ ঘটনাচক্রে এ দিনই পঞ্চায়েত নিয়ে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করতে জলপাইগুড়িতে আসেন তিনি৷ রানিনগরে দু’দফায় বৈঠক করেন৷ নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগে থেকেই অবশ্য পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের নেতা-কর্মীদের কী কী করতে হবে তা তাঁদের জানান দিলীপবাবু৷
দলের নেতা-কর্মীদের বলেন, “ভোটের দিন প্রতিটি বুথ আগলে রাখতে হবে৷ বুথে ঢোকা ও বের হওয়ার রাস্তাতেও নজরদারির জন্য অন্তত ৫-৭ জনকে বসে থাকতে হবে৷ বাইরের কোনও লোককে গ্রামে ঢুকতে দেওয়া চলবে না৷ এমনকি গ্রামের জামাই এলেও তাকে বলতে হবে, আজ ফিরে যাও৷ কাল এসো৷ মাছ-ভাত খাওয়াব৷ তা না হলে আজ তোমায় ডান্ডা খেতে হবে৷”
এখানেই থেমে থাকেননি দিলীপবাবু৷ দলীয় নেতা-কর্মীরদের প্রতি নির্দেশ, “বাঁশের লাঠি ভাল করে পালিশ করে নিন৷ ভোটের দিন বাইরের কেউ গ্রামে ঢুকলে সে যেন খাটিয়া করে হাসপাতাল হয়ে তবে বাড়ি যায়৷”
বিজেপির রাজ্য সভাপতির এমন মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই বিতর্ক দানা বেধেছে রাজনৈতিক মহলে৷ দিলীপ ঘোষের কড়া সমালোচনা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ দলের জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ভোটের দিন দিলীপবাবু তার এই লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে রাজ্যে থাকতে পারবেন তো? কারণ এ রাজ্যের মানুষ অত্যন্ত শান্তিপ্রিয়৷ তাঁরা এমন হুমকি কখনই বরদাস্ত করবেন না৷’’
দিলীপবাবুর পাল্টা বক্তব্য, ‘‘আমাদের কর্মীরা পঞ্চায়েতের তিন স্তরেই ভাল ফল করবে৷ তাঁরা বুক চিতিয়ে লড়াই করতে প্রস্তুত৷ শাসক দল যতই ধমক দিক, অন্য কিছু করুক, তার মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত৷’’