গত এক দশক ধরে ঝুলে থাকা সেবক-রংপো রেললাইনের জন্য দ্রুত জমির ছাড়পত্র দেওয়ার আশ্বাস দিল জিটিএ।
বুধবার সকালে দার্জিলিঙে জিটিএ প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারম্যান বিনয় তামাঙ্গের সঙ্গে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের অফিসারদের বৈঠক হয়েছে। সেখানে জিটিএ-র তরফে রেলকে তিনটি দাবি জানিয়ে ওই এলাকায় জমির ছাড়পত্র দেওয়ার কথা বলেছেন বিনয়। জিটিএ চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘সিকিমের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক বরাবর মজবুত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন প্রকল্পটির ঘোষণা করেন। জমি এবং প্রযুক্তির জন্য তা আটকে রয়েছে। আমরা ছাড়পত্র দিতে প্রস্তুত।’’
জিটিএ-র তরফে রেলকে জানানো হয়েছে, প্রস্তাবিত রেলপথে দার্জিলিং বা কালিম্পং জেলায় স্টেশন করতে হবে। কালীঝোরা, তিস্তাবাজার, মেল্লি ও রংপোতে পাহাড়বাসীর জন্য স্টেশন দরকার। এর মধ্যে তিস্তাবাজারের স্টেশনটি মাটির নীচে থাকবে। ভূমিকম্প এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কথা মাথায় রেখে বিস্ফোরণের বদলে ‘ড্রিল’ করে পাহাড় কাটতে হবে। সেই সঙ্গে ২৪টি গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার বাসিন্দার জন্য সামাজিক প্রকল্পের কাজ করতে হবে।
রেলের অফিসারেরা জিটিএ প্রধানকে জানিয়েছেন, প্রকল্পের ৮৫ শতাংশ হবে মাটির নীচে সুড়ঙ্গ তৈরি করে। তাতে পাহাড়ি বাসিন্দাদের খুব একটা সমস্যা হবে না। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সামজিক প্রকল্প হাতে নেবে রেল। আর পাথর সরাতে ডিনামাইটের ব্যবহার হবে না।
বিনয় তামাঙ্গ জানিয়েছেন, প্রস্তাবিত রেলপথের ৩৩ কিমি সুড়ঙ্গ থাকবে। ১৩টি সেতুও তৈরি হবে। রাজ্য ও জিটিএ ছাড়পত্র দিয়ে দিচ্ছে, এ বার কেন্দ্রের বন মন্ত্রকে আলোচনা করে বাকি সমস্যা মেটাতে হবে রেলকেই। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের আশা, দ্রুত সিকিমকে রেল মানচিত্রে যুক্ত করার কাজ শুরু হয়ে যাবে।’’