শুভজিৎ সেন
এপ্রিলে পঁচিশে পা দেওয়ার কথা ছিল। তার আগেই, মঙ্গলবার আন্টার্কটিকায় থেমে গেল পুরুলিয়ার শুভজিৎ সেনের জীবন-সফর। ভারতের ৩৭তম আন্টার্কটিকা অভিযাত্রী দলে ছাত্র-প্রতিনিধি ছিলেন পুরুলিয়ার ভুঁইয়াপাড়ার শুভজিৎ।
ন্যাশনাল সেন্টার ফর আন্টার্কটিক অ্যান্ড ওশান রিসার্চ (এনসিএওআর)-এর ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, সোমবার ‘কনভয় অপারেশন’ চলাকালীন শুভজিৎ দুর্ঘটনায় পড়েন। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে ভেসেলে আনা হয়। চিকিৎসকেরা চেষ্টা করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। আন্টার্কটিকায় ভারতের স্থায়ী গবেষণা কেন্দ্র ‘মৈত্রী’-তে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় শুভজিতের।
পুরুলিয়ার জেকে কলেজ থেকে ভূতত্ত্বে স্নাতক হয়ে ভূবনেশ্বর আইআইটি-তে যান শুভজিৎ। ২০১৭-য় স্নাতকোত্তর পাঠ শেষ করে গবেষণা প্রকল্প জমা দেন এনসিএওআর-এ। সেই সূত্রে ৩৭তম ‘ইন্ডিয়ান সায়েন্টিফিক এক্সপেডিশন টু আন্টার্কটিকা’ (আইএসইএ)-তে যোগ দেওয়ার সুযোগ পান। রওনা হন অক্টোবরে। ফেরার কথা ছিল এপ্রিলে।
খাবারের দোকান আছে শুভজিতের বাবা দিলীপ সেনের। তাঁর অসুস্থতার জন্য এখন বড় ছেলে শুভঙ্কর ব্যবসা দেখেন। এপ্রিলে তাঁর বিয়ের দিন ঠিক হয়েছে। মা মুক্তাদেবী বলেন, ‘‘দিন পাঁচেক আগে শেষ কথা হয়। বলেছিল, ‘কাজ প্রায় শেষ। দাদার বিয়ের আগেই ফিরব’।’’
আরও পড়ুন: আসা হল না দাদার বিয়েতে
সব এলোমেলো হয়ে গেল। ভাইয়ের দেহ কী ভাবে ফিরবে, খোঁজ নিতে ছুটছেন শুভঙ্কর। পুরুলিয়ার জেলাশাসক অলকেশপ্রসাদ রায় বলেন, ‘‘দেহ ফিরিয়ে আনার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।’’