বিতণ্ডা: সম্প্রীতির মঞ্চে বাগ্যুদ্ধ কবীর সুমন ও আবুল বাশারের। রয়েছেন জয় গোস্বামী, সুবোধ সরকার, হোসেনুর রহমান এবং শুভাপ্রসন্ন। বুধবার। ছবি: দেশকল্যাণ চৌধুরী
সম্প্রীতির বার্তা দিতে সাংবাদিক সম্মেলন করা হল। কিন্তু সেই সম্মেলন থেকেই আগামী রবিবারের সম্প্রীতির মিছিলকে ‘আমরা-ওরা’য় বিভক্ত করলেন রাজ্যের এক দল বিশিষ্টজন। তৃণমূল-ঘনিষ্ঠ এই বিশিষ্টদের মঞ্চ থেকে শুভাপ্রসন্ন স্পষ্টই বুঝিয়ে দিলেন, ওই মিছিলে বামপন্থীরা থাকবেন বলে তাঁরা যাবেন না। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা পৃথক থেকেই কাজ করছি।’’
আসানসোল, রানিগঞ্জে রামনবমীর মিছিল ঘিরে অশান্তির নেপথ্যে আরএসএস, বিজেপির মদত রয়েছে বলে বুধবার ওই সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করা হয়। রামনবমীতে বিজেপির সঙ্গে শাসক তৃণমূলের প্রতিযোগিতার টক্করে গোলমাল বেধেছে, তা স্বীকার করতে নারাজ কবীর সুমন বললেন, ‘‘এর সঙ্গে আমাদের রাজ্য সরকারকে কেন জড়াচ্ছেন। তারা এর মধ্যে নেই।’’ ওই মঞ্চেই আবার আবুল বাশারের সঙ্গে মতভেদও হয় তাঁর। বিষয়, সাম্প্রদায়িক হিংসা।
এ দিনের সাংবাদিক সম্মেলনের সমালোচনা করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের পাল্টা বক্তব্য, ‘‘ধূলাগড়, বসিরহাট, রানিগঞ্জ, আসানসোলে অশান্তি চলাকালীন কেন এই বিশিষ্টরা শান্তির বার্তা নিয়ে সেখানে যাননি? আসলে তৃণমূল বিপন্ন দেখে ওঁরা পথে নেমেছেন।’’