শহরে প্রতিবাদের মিছিল, পায়ে পায়ে সম্প্রীতির শঙ্খ

মৌলবাদী রাজনীতি এবং সংস্কৃতির চাষের প্রতিবাদে সম্প্রীতির মিছিল হল রবিবার ধর্মতলা থেকে রবীন্দ্র সদন। যেখানে অসুস্থ শরীরে হাঁটলেন কবি শঙ্খবাবু।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০১৮ ০৩:৪৬
Share:

মিছিল:  অসুস্থ শরীরে রাজপথে হাঁটলেন শঙ্খ ঘোষ। রবিবার শহরে। —নিজস্ব চিত্র

নন্দীগ্রামে ‘সূর্যোদয়’-এর চার দিন পর শঙ্খ ঘোষ, অপর্ণা সেন, শাঁওলি মিত্র প্রমুখ বিদ্বজ্জনদের ডাকে প্রতিবাদ মিছিলে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে পা মিলিয়েছিলেন বঙ্গের বহু সাধারণ মানুষ। প্রায় ১১ বছর পর আবার বিদ্বজ্জনেদের ডাকা একই রকম মিছিলে আমজনতার সামিল হওয়ার সাক্ষী থাকল কলকাতা। মৌলবাদী রাজনীতি এবং সংস্কৃতির চাষের প্রতিবাদে সম্প্রীতির মিছিল হল রবিবার ধর্মতলা থেকে রবীন্দ্র সদন। যেখানে অসুস্থ শরীরে হাঁটলেন কবি শঙ্খবাবু। পা মেলালেন নাট্যব্যক্তিত্ব রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, মেঘনাদ ভট্টাচার্য, চন্দন সেন, চলচ্চিত্রকার তরুণ মজুমদার, অনীক দত্ত, গায়ক পল্লব কীর্তনীয়া, বাচিক শিল্পী উর্মিমালা বসু, শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার, চিত্রকর ওয়াসিম কপূর, অভিনেতা দেবদূত ঘোষ প্রমুখ।

Advertisement

রামনবমীকে কেন্দ্র করে রানিগঞ্জ-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় গোষ্ঠী-সংঘর্ষ এবং প্রাণহানি হয়েছে। তার প্রেক্ষিতে এ দিন বিদ্বজ্জনেদের ডাকা সম্প্রীতি মিছিলে যোগ দেন সাধারণ মানুষ। বামপন্থী নেতারা মিছিলে যান দলীয় পতাকা ছাড়া। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র-সহ রাজনৈতিক নেতারা ছিলেন মিছিলের পিছন দিকে।

প্রথমে ঠিক ছিল, অসুস্থতার জন্য শঙ্খবাবু মিছিলে হাঁটবেন না। তিনি দূর থেকে সমর্থন জানাবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি মিছিলে যান এবং বলেন, ‘‘যাওয়ার পর না হেঁটে থাকতে পারিনি।’’ কামদুনি-কাণ্ডের পরেও এক বার পথে নেমেছিলেন শঙ্খবাবু। অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এ দিন মিছিলে বার্তা পাঠিয়েছেন, ‘ধর্মের নামে, ধর্মাচারের নামে এমনকী আজ শিশু-কিশোরদের হাতেও নির্বিবাদে অস্ত্র উঠে আসছে। ... এই বীভৎসতা আগে তো দেখিনি’! রুদ্রপ্রসাদবাবু বলেন, ‘‘সব সম্প্রদায়ের সহাবস্থানের ঐতিহ্যটা যারা গোলমাল করে দিতে চাইছে, তাদের মূল্য দিতে হবে।’’

Advertisement

একজোট: সম্প্রীতি রক্ষার আবেদন নিয়ে ধর্মতলা থেকে রবীন্দ্র সদন পর্যন্ত মিছিল বিশিষ্ট জনেদের। রবিবার। ছবি: সুমন বল্লভ

বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের অবশ্য কটাক্ষ, ‘‘এই তাঁবেদার বিদ্বজ্জনেদের কেউ পাত্তা দেয় না। ওঁরা নিজেদের অস্তিত্ব বাঁচাতে পথে নেমেছেন।’’

নন্দীগ্রাম-কাণ্ডের প্রতিবাদে যে বিদ্বজ্জনেরা পথে নেমেছিলেন, তাঁদের বেশির ভাগই অবশ্য এ দিনের মিছিলের সঙ্গে ছিলেন না। শুভাপ্রসন্ন, সুবোধ সরকাররা আগেই জানিয়েছিলেন, এই মিছিলে তাঁরা যাবেন না। পাশাপাশিই দেখা যায়নি অপর্ণা, শাঁওলি, জয় গোস্বামী প্রমুখদেরও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন