ফাইল চিত্র।
বল্লমের ফলা বেঁধার আগে মাথায় চোট পেয়ে সম্ভবত কোমায় চলে গিয়েছিল রয়্যাল বেঙ্গল। তাই আর প্রতিরোধ করতে পারেনি। রয়্যাল বেঙ্গল মৃত্যুরহস্যে এমনই ইঙ্গিত করছে ময়না-তদন্ত।
সোমবার পর্যন্ত ময়না-তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট আসেনি। তবে এক বনকর্তা বলেন, “ময়না-তদন্তকারী পশু চিকিত্সকের সঙ্গে কথা বলেছি। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের জেরে সম্ভবত কোমায় চলে গিয়েছিল বাঘটি। তাই আর উঠে দাঁড়াতে পারেনি।”
গত শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুরের বাগঘোরার জঙ্গলে বাঘের মৃত্যুর পরেই প্রশ্ন ওঠে বল্লমের ফলায় বিদ্ধ হয়েও কেন ঘুরে দাঁড়াল না দক্ষিণরায়? বনকর্তাদের অনুমান ছিল, সপ্তাহখানেক আগে থেকে চোটে কাবু থাকায় সে প্রতিরোধ করতে পারেনি। ময়না-তদন্তের পরে অবশ্য বনকর্তারা মনে করছেন, শিকারি দলের হাতে ঘেরাও হয়ে গিয়েছিল বাঘটি। প্রথমে দূর থেকে তাকে কাঠের টুকরো বা বাঁশ ছোঁড়া হয়। সেটি মাথায় লাগে। পরে কেউ বা কারা গিয়ে কাঠ বা বাঁশ দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে। কোমায় চলে যায় রয়্যাল বেঙ্গল। পরে বল্লম ছোড়া হয়।
জেলার এক বনকর্তার কথায়, “মনে হচ্ছে, তিন-চার ফুট দূর থেকেই মাথায় সজোরে আঘাত করা হয়েছে। না হলে এতটা ক্ষত হত না। পুরনো আঘাতও ছিল। ফলে দুর্বল বাঘ আর উঠে দৌড়তে পারেনি।” ইতিমধ্যে ঘটনার বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে বন দফতর। এখন ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার অপেক্ষা। জেলার এক বনকর্তা বলেন, “রিপোর্ট পেতে কিছু দিন লাগবে বলেই মনে হচ্ছে।”