গুরুংয়ের সঙ্গে দেখা করার প্রস্তাব নাকচ রাজ্যের

তার ক্ষেত্র তৈরি করতে ‘ট্র্যাক টু’ বা নেপথ্য কথাবার্তাও চলছে। সম্প্রতি গুরুং একাধিক দূত মারফত মমতার সঙ্গে বৈঠকের বার্তা দেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০১৮ ০৩:৪৮
Share:

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।

বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে একান্তে দেখা করার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।

Advertisement

দীর্ঘদিন পাহাড়ছাড়া, রাজনৈতিক ভাবে কোণঠাসা গুরুং রাজ্যের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী। তার ক্ষেত্র তৈরি করতে ‘ট্র্যাক টু’ বা নেপথ্য কথাবার্তাও চলছে। সম্প্রতি গুরুং একাধিক দূত মারফত মমতার সঙ্গে বৈঠকের বার্তা দেন। এই বার্তাই প্রত্যাখ্যান করেছে রাজ্য সরকার।

প্রশাসন সূত্রের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী কয়েকটি বিষয় স্পষ্ট করে দিয়েছেন। তিনি জানান, প্রথমত, পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবি থেকে গুরুংকে সরতে হবে। দ্বিতীয়ত, তার পরেও প্রাক্তন জিটিএ প্রধানের সঙ্গে সরাসরি বৈঠক করতে সমস্যা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। কারণ, গুরুং এবং তাঁর কয়েক জন ঘনিষ্ঠ সহযোগীর বিরুদ্ধে ইউএপিএ-তে অভিযোগ, নানা মামলায় পরোয়ানাও আছে।

Advertisement

তবে নিজে দেখা না করলেও মমতা জানান, চাইলে গুরুং বা তাঁর সঙ্গীদের কেউ রাজ্যের প্রতিনিধি কোনও অফিসারের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। সেই নেপথ্য আলোচনা চলছে। রাজ্য যে এখনই সরাসরি বৈঠকে আগ্রহী নয়, সেটাও ওই আলোচনায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে গুরুং শিবিরকে। রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, চাপ বাড়ছে দেখে গুরুংয়ের কয়েক জন ঘনিষ্ঠ তাঁকে বাদ দিয়েই সরাসরি ব্যক্তিগত ভাবে মমতার সঙ্গে বোঝাপড়া করে নিতে চাইছেন।

এই অবস্থায় কোণঠাসা গুরুং এ দিন পাহাড়ে একটি অডিও-ভিডিও বিবৃতিতে জানান, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রস্তাব তিনি দেননি। এ হল ‘ফেক-নিউজ।’ পাহাড়ের মানুষের কাছে তাঁর আবেদন, এ ধরনের খবর যেন তাঁরা বিশ্বাস না করেন। গুরুং বলেন, ‘‘গোর্খাল্যান্ড সমর্থকদের মনোবল ভাঙতে এ ধরনের প্রচার চলছে।’’ একই সঙ্গে তিনি ফের ঘোষণা করেন, ‘‘আমি খুব শীঘ্রই পাহাড়ে ফিরব।’’

পাহাড়ের রাজনীতির সঙ্গে যুক্তদের বক্তব্য, এখন এ কথা বলা ছাড়া গুরুংয়ের কোনও উপায় নেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement