Kolkata News. Golf Garden

কিশোরীর পোশাক বদলাল কে, রহস্য

গল্ফ গার্ডেন্সের রক্তাক্ত কিশোরী উদ্ধারের রহস্য ক্রমশই ঘনীভূত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার স্কুলে যাবে বলে বেরিয়ে মেয়েটি নিখোঁজ হয়ে যায়। শুক্রবার সকালে উদ্ধারের সময় কিন্তু তার পরনে স্কুলের পোশাক ছিল না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০১৮ ০৩:৩৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

আইসিইউয়ে চিকিৎসাধীন কিশোরীর অবস্থা সঙ্কটজনক বলে এম আর বাঙুর হাসপাতালের সূত্রের খবর। কিন্তু ঠিক কেমন আছে মেয়েটি, তার অবস্থা কেমন, পরিবারকেও তা স্পষ্ট জানানো হচ্ছে না বলে অভিযোগ।

Advertisement

তাই গল্ফ গার্ডেন্সের রক্তাক্ত কিশোরী উদ্ধারের রহস্য ক্রমশই ঘনীভূত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার স্কুলে যাবে বলে বেরিয়ে মেয়েটি নিখোঁজ হয়ে যায়। শুক্রবার সকালে উদ্ধারের সময় কিন্তু তার পরনে স্কুলের পোশাক ছিল না। তার বদলে ছিল অন্য জামাকাপ়়ড়। কে বা কারা, কোথায়, কী ভাবে তার পোশাক বদলে দিল, তা নিয়ে ধন্দ কাটেনি।

শুক্রবার গল্ফ গার্ডেন্সের একটি আবাসন-চত্বরের সামনে থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়। প্রথমে সন্দেহ করা হয়েছিল, কিশোরীটি শারীরিক নির্যাতনের শিকার। ডিসি (এসএসডি) সন্তোষ নিম্বলকর অবশ্য দাবি করেছেন, ডাক্তারি পরীক্ষায় কিশোরীর গোপনাঙ্গে কোনও রকম আঘাতের প্রমাণ মেলেনি। ওই কিশোরী রাস্তার মতো কোনও শক্ত জায়গায় পড়ে গিয়ে আঘাত পেয়েছে। বৃহস্পতিবার সারা রাত নিখোঁজ থাকার পরে পরের সকালে রক্তাক্ত অবস্থায় মেয়েটিকে উদ্ধার করা হলেও রবিবার রাত পর্যন্ত তার পরিবারের তরফে পুলিশের কাছে কোনও রকম অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।

Advertisement

কিশোরীর পরিবারের লোকজন জানান, শুক্রবার রাতের পরেই মেয়েটিকে আইসিইউয়ে স্থানান্তরিত করা হয়। ফলে শনিবার থেকে শুধু বিকেলে এক বার হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীর নজরদারিতে তাঁরা মেয়েকে দেখতে পাওয়ার অনুমতি পেয়েছেন। ‘‘কিন্তু আমাদের মেয়ের শরীরের অবস্থা কেমন, তা তো চোখে দেখে বুঝব না। হাসপাতাল বা পুলিশ, কেউই কিছু জানাচ্ছে না,’’ আক্ষেপ করছিলেন মেয়েটির মাসি। এ ব্যাপারে বারবার ফোন করেও নিম্বলকর এবং হাসপাতালের সুপার তাপসকুমার ঘোষের বক্তব্য জানা যায়নি। তাঁরা ফোন ধরেননি।

কিশোরীটির বয়স যখন মাত্র এক মাস, তার মা আগুনে পুড়ে মারা যান বলে পারিবারিক সূত্রের খবর। স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে কিশোরীর বাবাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। জেলও হয় তাঁর। এখন ওই ব্যক্তির কোনও খবর জানেন না কিশোরীর দাদু, দিদা বা মাসি। দাদু-দিদার কাছেই বড় হয়েছে মেয়েটি। স্থানীয় একটি স্কুলে ভর্তিও হয়েছিল। কিন্তু ইদানীং বাড়ি থেকে স্কুলের পোশাক পরে বেরোলেও স্কুলে যেত না সে। উদ্ধারের আগের দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবারেও স্কুলে যাবে বলে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় সে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন