আইডি হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসছেন সফিকুল শেখ (বাঁ দিকে)। ছবি: শৌভিক দে।
বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদের দুই যুবক এবং দাসপুরের এক ব্যক্তি জ্বর, কাশি-সর্দির মতো উপসর্গ নিয়ে সেখানে ভর্তি হয়েছেন। অন্য এক জন মারা গিয়েছেন কম্যান্ড হাসপাতালে। সন্দেহ করা হচ্ছে, তিনি নিপা-য় আক্রান্ত হয়েছিলেন। সব মিলিয়ে নিপা-আতঙ্ক বাড়ছে পশ্চিমবঙ্গেও।
বুধবার মুর্শিদাবাদের রেজিনগরের বাসিন্দা সফিকুল শেখকে আইডি হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানান, মূত্রনালির সংক্রমণ থেকে জ্বর হয়েছিল ওই যুবকের। বেশ কয়েক মাস কেরলে কাজ করে সফিকুল বাড়ি ফিরেই জ্বরে আক্রান্ত হওয়ায় আত্মীয়স্বজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ওই জেলার অন্য এক জনের চিকিৎসা চলছে আইডি-তে।
এ দিন উত্তম ভৌমিক নামে দাসপুরের এক বাসিন্দাকে আইডি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। আত্মীয়স্বজন জানান, জ্বরে আক্রান্ত ওই যুবককে তাঁরা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করাতে ভরসা পাননি। তাই সরাসরি আইডি-তে এনেছেন। তাঁর রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
জ্বর নিয়ে আইডি-তে রোগী ভর্তির পাশাপাশি রোগীর মৃত্যুতে আতঙ্ক বাড়ছে। সোমবার কম্যান্ড হাসপাতালে এক সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়। ২০ মে জ্বর-সহ কিছু উপসর্গ নিয়ে তিনি ওখানে ভর্তি হয়েছিলেন। ২৮ মে তিনি মারা যান। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানান, পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি বা এনআইভি-তে ওই জওয়ানের রক্তের নমুনা পাঠানো হয়েছিল। রিপোর্টে নিপা সংক্রমণের বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা হয়নি।
রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর জানাচ্ছে, নিপা নিয়ে অযথা বিভ্রান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। আপাতত এখানে নিপা-আক্রান্তের কোনও প্রমাণ নেই। জ্বর-কাশি বা গলায়, ঘাড়ে ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দিলেই নিপা-আতঙ্কে ভোগার কারণ নেই। চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করার পরে প্রয়োজন হলে তবেই রক্ত পরীক্ষা করা হবে। ভারতে নিপা পরীক্ষার পরিকাঠামো রয়েছে শুধু পুণেতেই। তাই সেখানেই রক্তের নমুনা পাঠাতে হবে। আপাতত অবশ্য এ-সব করার কোনও কারণ নেই বলে জানাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্তারা।