পাট্টার নথিভুক্তিতে রাজ্যে শীর্ষে পশ্চিম

এই পরিস্থিতিতে আদিবাসীদের প্রকৃত মানোন্নয়ন ও অধিকার রক্ষার আন্দোলনের স্বার্থে সমাজ থেকে অরাজনৈতিক প্রার্থী দেওয়ার দাবি তুলছেন কেউ কেউ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

 ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০১৮ ০১:৫৫
Share:

আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে কাকে সমর্থন করবেন জঙ্গলমহলের আদিবাসীরা? কী ভূমিকা হবে আদিবাসী সামাজিক সংগঠন ‘ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহল’-এর? এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে শাসক ও বিরোধী দলগুলির অন্দরে। রণকৌশল স্থির করতে আদিবাসীদের সামাজিক সংগঠনটি মঙ্গলবার বিকেলে মেদিনীপুর শহরের একটি সাঁওতালি স্কুলে সাংগঠনিক বৈঠক ডেকেছে।

Advertisement

রাজ্য সরকার ও প্রশাসন আদিবাসীদের পাশে রয়েছে, এটা বোঝানোর জন্য শাসক দল ও প্রশাসনের তরফে চেষ্টার কসুর নেই। তবে জঙ্গলমহলের পঞ্চায়েত গুলিতে গত পাঁচ বছরে শাসক দলের রাজ্যপাটে মোটেই সন্তুষ্ট নন আদিবাসী সমাজের একাংশ। গত কয়েক বছরে বারে বারে সেই অসন্তোষের প্রতিফলন দেখা গিয়েছে। গত বছর রাজ্য সরকারের সরকারি হুল দিবসের অনুষ্ঠান বয়কট করেছিলেন আদিবাসীরা। জঙ্গলমহলের সাঁওতালি মাধ্যম স্কুল গুলির পরিকাঠামো ও পঠন পাঠনের ব্যবস্থা নিয়েও আদিবাসীদের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে। বার কয়েক জেলাশাসকের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবিসনদ পাঠিয়েছেন আদিবাসীরা। ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অজিত মাইতির মধ্যস্থতায় দু’দফায় কলকাতায় শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্রোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন আদিবাসী নেতারা। কিন্তু তারপরও সমাজের একাংশ, সরকারের ভূমিকায় খুশি নন। বিদ্যালয় পরিদর্শকের দফতরে বিক্ষোভ কর্মসূচি করে, পরিকাঠামোহীন স্কুলে তালা ঝুলিয়ে কিংবা দীর্ঘক্ষণ রাস্তা অবরোধ করে ক্ষোভ জানিয়েছেন আদিবাসীরা। এর পাশাপাশি, পঞ্চায়েত স্তরে গত পাঁচ বছরে ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণ ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের বক্তব্য, সরকারি স্তরে উন্নয়নের প্রচার ঢাক বাজানো হলেও পঞ্চায়েতের সুবিধা শাসকদলের মুষ্টিমেয় কিছু লোকজনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকে গিয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে আদিবাসীদের প্রকৃত মানোন্নয়ন ও অধিকার রক্ষার আন্দোলনের স্বার্থে সমাজ থেকে অরাজনৈতিক প্রার্থী দেওয়ার দাবি তুলছেন কেউ কেউ। আর এই দাবি ওঠায় অস্বস্তি শুরু হয়েছে শাসক সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে। যদিও ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহলের মুখপাত্র রবিন টুডু বলেন, “আমরা সামাজিক সংগঠন। ভোটে লড়ার ইচ্ছে আমাদের নেই। পঞ্চায়েত ভোটে কাকে সমর্থন করব সে ব্যাপারে সংগঠনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কোনও দল বা রং দেখব না।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন