প্রতীকী ছবি।
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় গার্ড দিতে গিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষকদের একাংশ। তাই ছুটি দিয়ে দেওয়া হল শিলিগুড়ির জিএসএফপি প্রাথমিক স্কুল।
ওই স্কুল লাগোয়া হাকিমপাড়া বালিকা বিদ্যালয়। সেখানেই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় গার্ড দিতে গিয়েছিলেন জিএসএফপি প্রাথমিক স্কুলের চার জন শিক্ষক। স্কুলে মোট শিক্ষক রয়েছেন সাত জন। উচ্চ মাধ্যমিকে গার্ড দেওয়ার জেরে তা কমে দাঁড়িয়েছে তিনে। তাই ক্লাস করানো যাবে না বলে নোটিস দিয়ে জানিয়ে দিয়েছিলেন দায়িত্বে থাকা প্রধান শিক্ষক সুশীল ঘোষ।
সুশীলবাবু বলেন, ‘‘আমাদের চারজন শিক্ষককে পরীক্ষা কেন্দ্রে নজরদারির জন্য যেতে হয়েছিল। তাই ক্লাস সাসপেন্ড করতে হয়েছে।’’ একই কারণে আগেও দু’দিন তাঁদের ক্লাস সাসপেন্ড রাখতে হয়েছে বলে জানান তিনি। ২৭ মার্চ এবং ২৯ মার্চ ওই স্কুলের শিক্ষকদের পরীক্ষা কেন্দ্রে পর্যবেক্ষকের কাজে যেতে হয়েছিল।
তবে এই দিনের পর আর ওই শিক্ষকদের এমন দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। সে ক্ষেত্রে ক্লাস সাসপেন্ড করতে হবে না বলেই সুশীলবাবুর দাবি। শিলিগুড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান প্রণব ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘কয়েকটি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষককে পরীক্ষাকেন্দ্রে পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তবে তা মূলত ইংরেজি ও বাংলা এই দু’টি পরীক্ষার ক্ষেত্রেই। তারপর থেকে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকদের আর এমন দায়িত্ব নেই।’’ প্রণববাবু এ কথা জানালেও সুশীলবাবুদের দাবি সোমবারও তাঁদের দায়িত্ব ছিল। এ দিন ছিল অঙ্ক পরীক্ষা।
বিষয়টি নিয়ে ধন্দে পড়েছেন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের উত্তরবঙ্গের আঞ্চলিক শাখার বিশেষ উপসচিব জয়ন্ত ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘‘প্রথমে বিষয়টি আমাদের নজরে ছিল না। প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকদের পরীক্ষা কেন্দ্রে পর্যবেক্ষকের কাজে না নিতে বলা হয়েছে। কোথাও এ ধরনের ঘটনা ঘটলে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।’’