প্রতীকী ছবি।
কলকাতা মেট্রোপলিটন এলাকায় অচিরেই বাড়তে পারে অটোর সংখ্যা। ২০০৪ সালের নিষেধাজ্ঞা উঠে গিয়ে অটোর পারমিট দেওয়ার কাজ শীঘ্রই শুরু হতে পারে বলে পরিবহণ দফতরের খবর।
সবটাই নির্ভর করছে নতুন অটো-নীতি কবে ঘোষিত হচ্ছে, তার উপরে। ওই নীতিতে রুট-পিছু অটোর সংখ্যা বেঁধে দেওয়ার কথা। যে-সব রুটে যাত্রী অনুপাতে অটো কম, সেখানে নতুন পারমিট দেওয়া হতে পারে। পঞ্চায়েত নির্বাচন মিটলে সরকার এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর, ২০০৪ সালে নিষেধাজ্ঞা জারি করে কলকাতা মেট্রোপলিটন এলাকা ছাড়াও হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, নদিয়ায় অটোর পারমিট দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। পর্যাপ্ত অটোর অভাব জেলার পরিবহণে সমস্যা দেখা দেয়। ২০১২-য় হুগলি জেলা প্রশাসন আরও অটোর প্রয়োজনের কথা জানায় রাজ্যকে। প্রয়োজনে নিষেধাজ্ঞা তুলে নতুন পারমিট দেওয়ার আর্জিও জানানো হয়।
কিন্তু নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকায় চন্দ্রাণী দে নামে হুগলির এক মহিলা ২০১৩-য় হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন। হাইকোর্ট পরিবহণসচিবকে বিষয়টি দেখতে বলে। পরিবহণ দফতর হুগলি জেলার রিপোর্ট চেয়ে পাঠায়। রিপোর্টে বলা হয়, আরও অটোর দরকার রয়েছে। পরিবহণ দফতর হাইকোর্টে গেলে এই নিয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। বলা হয়, সেই কমিটির সুপারিশ মেনেই কাজ করতে হবে।
২০১৬ সালে কমিটি গড়ার পরে গত জানুয়ারিতে কমিটির রিপোর্ট পরিবহণ দফতরে জমা পড়ে। তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে অটো-নীতিও তৈরি করে ফেলেছে পরিবহণ দফতর। ওই দফতর সূত্রের খবর, নতুন নীতিতে পুরনো নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার তো হচ্ছেই। তা ছাড়াও আরও কিছু বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় নতুন পারমিট পাওয়ার জট অনেকটা কাটবে বলেই আশা করা হচ্ছে।