State News

নুন খাচ্ছ তো গুণ গাও, সিভিককে ফরমান তৃণমূলকর্মীর!

মানস ঘোষ নামে কেশপুরের ওই তৃণমূল কর্মী ফেসবুকে লেখেন, ‘সিভিক ভাইদের বলছি, সিপিএম ও বিজেপি সুপ্রিম কোর্টে তোমাদের বিরুদ্ধে লড়ছে। দিদি তোমাদের হয়ে লড়ছেন। অক্টোবর থেকে বেতন বৃদ্ধি ঘোষণা করলেন দিদি। বিগত ভোটে তোমাদের দু’-একজন দলবিরোধী কাজ করেছো। যার নুন খাচ্ছো তার অন্তত গুণটা গাও।’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০১৮ ০৩:৩২
Share:

কোনও লুকোচুরি নয়। সিভিক ভলান্টিয়ারদের সরাসরি পরামর্শই দিলেন কেশপুরের এক তৃণমূলকর্মী। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর আবেদন, নুন খেলে গাইতে হবে গুণ।

Advertisement

সম্প্রতি সিভিক ভলান্টিয়ারদের মাইনে বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরই মানস ঘোষ নামে কেশপুরের ওই তৃণমূল কর্মী ফেসবুকে লেখেন, ‘সিভিক ভাইদের বলছি, সিপিএম ও বিজেপি সুপ্রিম কোর্টে তোমাদের বিরুদ্ধে লড়ছে। দিদি তোমাদের হয়ে লড়ছেন। অক্টোবর থেকে বেতন বৃদ্ধি ঘোষণা করলেন দিদি। বিগত ভোটে তোমাদের দু’-একজন দলবিরোধী কাজ করেছো। যার নুন খাচ্ছো তার অন্তত গুণটা গাও।’

বিরোধীদের অভিযোগ, বেছে বেছে তৃণমূল ‘ঘনিষ্ঠ’ সিভিক ভলান্টিয়ারদের ভোটে ব্যবহার করা হয়েছে। বুথের বাইরে, ভিতরে সরাসরি তৃণমূলের হয়ে কাজ করার জন্য নিযুক্ত ছিলেন তাঁরা। তাই পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে তৃণমূলের তুলনামূলক খারাপ ফলের জন্য সিভিক ভলান্টিয়ারদের দায়ী করছেন স্থানীয় নেতারা।

Advertisement

কেন এমন পোস্ট? এক সময় কেশপুর কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক মানসের জবাব, “সোশ্যাল মিডিয়ায় মনের কথা লিখতে তো আপত্তি নেই!”
বিরোধীরা অবশ্য খোঁচা দিতে ছাড়ছে না। বিজেপির জেলা সভাপতি শমিত দাশ বলেন, “পুলিশ হোক কিংবা সিভিক ভলান্টিয়ার, কেউ তৃণমূলের নুন খায় না, জনগণের নুন খায়। ভোটে সকলে হয়তো তৃণমূলের কথা মতো কাজ করেননি। তাই এই রাগ-অভিমান!” এ প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি অজিত মাইতির বক্তব্য, “কে, কোথায়, কী লিখেছে সব দেখা সম্ভব নয়। তবে সিভিকদের নিয়ে কেউ কেউ কিছু নালিশ করেছেন। খোঁজ নেব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন