টানা ছুটির দিঘায় উপরি পাওনা জলোচ্ছ্বাস

উচ্চ মাধ্যমিক চললেও মাধ্যমিক শেষ হয়ে গিয়েছে। অনেক স্কুলও, বিশেষ করে ইংরেজি মাধ্যম বহু স্কুল এখন বন্ধ। তাই সপরিবার অনেকেই ছুটি কাটাতে চলে এসেছেন দিঘায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দিঘা শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০১৮ ০০:২৮
Share:

ছুটির টানে: শনিবার দিঘায় পর্যটকদের ভিড়। নিজস্ব চিত্র

শনি-রবির সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে গুডফ্রাইডে। সপ্তাহ শেষে তিন দিনের টানা ছুটিতে তাই ঢল নেমেতে সৈকত শহরে। সাগর প্রিয় পর্যটকদের হতাশ করেনি দিঘা। শনিবারই দিঘার সমুদ্রে দেখা গিয়েছে মরসুমের প্রথম জলোচ্ছ্বাস। পর্যটকেরা তা উপভোগ করেছে তারিয়ে তারিয়ে।

Advertisement

উচ্চ মাধ্যমিক চললেও মাধ্যমিক শেষ হয়ে গিয়েছে। অনেক স্কুলও, বিশেষ করে ইংরেজি মাধ্যম বহু স্কুল এখন বন্ধ। তাই সপরিবার অনেকেই ছুটি কাটাতে চলে এসেছেন দিঘায়। বালুতট, ঝাউবনের সঙ্গে তাঁদের উপরি পাওনা হয়েছে এই জলোচ্ছাস। শুক্রবার শুরু হয়েছে পূর্ণিমা। তাই এ দিন সকালে প্রথম জোয়ারে দিঘার সমুদ্রে দেখা যায় বড় বড় ঢেউ। সকাল দশটা নাগাদ ভরা জোয়ারের সময় এই মরসুমের প্রথম বড় ঢেউ আছড়ে পড়ে। জলোচ্ছ্বাসের সময় সমুদ্র স্নানে গিয়ে যাতে বিপদ না হয়, সে জন্য সতর্ক ছিল প্রশাসনও। বাড়তি পর্যটক সামলাতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করেছিল প্রশাসন। দিঘার সৈকতে নুলিয়া, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মী, কোস্টাল পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়ারদের নজরদারি এ দিন আরও আঁটোসাঁটো করা হয়। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু বলেন, “বাড়তি ভিড়ের জন্য নিরাপত্তা ও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। ভরা জোয়ারের সময় সৈকত জুড়ে মাইকে সচেতনতা প্রচার করা হচ্ছে। পর্যটকেরা সহযোগিতা করেছেন। সারাদিন আকাশ মেঘলা থাকায় ও জোরে বাতাস বওয়ায় ঢেউ একটু বড় ছিল। তাই দিনভর কড়া নজরদারি চালানো হয়।’’

খুব বেশিমাত্রায় জলোচ্ছাস অবশ্য হয়নি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সমুদ্র শান্ত হয়ে যায়। তবে পর্যটকেরা এতেই খুশি। নদিয়া থেকে সপরিবার সমুদ্র দেখতে আসা স্বপন তালুকদার বলছিলেন, “রবিবারই ফিরে যাব আমরা। তাই এ দিন একটু বেশিক্ষণ সমুদ্রে স্নান করব বলে সকাল সকাল সৈকতে চলে এসেছিলাম। বড় ঢেউয়ে খুব আনন্দ করেছি সকলে মিলে।’’

Advertisement

এই টানা তিন দিনের ছুটিতে যে দিঘায় ওপচানে ভিড় হবে, তার ইঙ্গিত মিলেছিল আগেই। হোটেলগুলোতে আগাম বুকিং শুরু হয়েছিল। আশা মতো ভিড় হওয়ায় খুশি স্থানীয় ব্যবসায়ী ও হোটেল মালিকরা। দিঘা–শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, “দিঘায় এখন সারা বছর ভিড় হয়। এমন টানা ছুটির মরসুমে ভিড় বাড়ে। এখন প্রায় সব হোটেলেই ভর্তি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন