West Bengal News

ঝাড়গ্রামে বিজেপি অফিসে হামলার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে, আমরাই আক্রান্ত, পাল্টা তৃণমূল

সুব্রতবাবু জানান, এ দিন পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি ছিল তাঁর। বিজেপির এক কর্মীকে মারধর করা হয়েছিল। তাঁর সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল। দলীয় বৈঠকও ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০১৮ ২৩:৩৭
Share:

ভেঙে ফেলা হয়েছে বাইক। নিজস্ব চিত্র

দলীয় কার্যালয়ে বৈঠক চলাকালীন আচমকাই বিজেপি কর্মীদের উপরে হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বাইক বাহিনীর বিরুদ্ধে। তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি আর্য ঘোষের নেতৃত্বেই ওই বাইক বাহিনী বিজেপির পার্টি অফিস ঘিরে রেখে গুলি এবং ব্যাপক বোমাবাজি চালায় বলেও বিজেপি সূত্রের খবর। মঙ্গলবার রাতে এই ঘটনা ঘটে ঝাড়গ্রাম শহরে।

Advertisement

হামলা চলাকালীণ ওই পার্টি অফিসে আটকে পড়ে ছিলেন রাজ্য বিজেপি সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ও। তিনি ফোনে জানান, ঘটনার পর থেকেই বারবার পুলিশকে ফোন করে সাহায্য চাইলেও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। পরে রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। পুলিশের হস্তক্ষেপে বিজেপির দলীয় কার্যালয় ঘেরাও মুক্ত হয়।

ঠিক কী হয়েছিল?

Advertisement

সুব্রতবাবুর অভিযোগ, এ দিন ওই এলাকায় পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি ছিল তাঁর। বিজেপির এক কর্মীকে মারধর করা হয়েছিল। তাঁর সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল। দলীয় বৈঠকও ছিল। রাতে যখন বৈঠক চলছিল, তখনই আচমকা বাইরে দু’দিক থেকে তৃণমূলের বাইক বাহিনী দলীয় কার্যালয় ঘিরে ফেলে। ভাঙচুর চালাতে শুরু করে। দলীয় কার্যালয়ে উপস্থিত বিজেপির কর্মীরা বাইরে বেরিয়ে বাধা দেন। তারপর দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। এমনই অভিযোগ করেছেন সুব্রতবাবু।

তাঁর আরও অভিযোগ, রাত ১১টা বেজে গেলেও পুলিশ তাঁদের উদ্ধারের জন্য আসেনি। সুব্রতবাবু এবং তাঁর সঙ্গে অনেক বিজেপি কর্মী এমনকী গ্রামের অনেক মহিলারাও ওই কার্যালয়ে আটকে ছিলেন। ওই মহিলারা আসেপাশের গ্রামের। তৃণমূলের গুণ্ডাবাহিনীর অত্যাচারে তাঁরা গ্রামছাড়া। তারপর থেকে দলীয় কার্যালয়েই তাঁরা আশ্রয় নিয়েছেন। সুব্রতবাবু ফোনে বলেন, ‘‘রাত ১১টার পরও বোমাবাজি চলছে। মনে হচ্ছে যুদ্ধক্ষেত্রে আছি।’’

আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরে শান্তির ভোট

ঝাড়গ্রামের পরিস্থিতির খবর পেয়েই বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র রাতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহকে ফোন করে বিষয়টি জানিয়েছেন বলে বিজেপি সূত্রের খবর। পরে রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

চলল গুলিও। নিজস্ব চিত্র

বিজেপির সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। যাঁর বিরুদ্ধে বাইক বাহিনী নিয়ে গিয়ে হামলার অভিযোগ এনেছে বিজেপি, সেই জেলা কার্যকরী সভাপতি আর্য ঘোষের পাল্টা অভিযোগ, তাঁরা কোনও হামলাই করেননি। উল্টে তাঁদের বাইক মিছিলেই বিজেপির কর্মীরা হামলা চালিয়েছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement