ভোটের মুখে এ বার স্কুলের উন্নয়ন প্রস্তাব

বিকাশ ভবন সূত্রের খবর, সম্প্রতি জেলা স্কুল পরিদর্শকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রতিটি স্কুলের থেকে উন্নয়নের জন্য আর্থিক প্রস্তাব সংগ্রহ করতে হবে। এবং তা দ্রুত দফতরে পাঠাতে হবে। তার ভিত্তিতে অর্থ বরাদ্দ করবে সরকার। প্রতি বছরই এ রকম প্রস্তাব চাওয়া হয়।

Advertisement

সুপ্রিয় তরফদার

শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০১৮ ০৩:৫৫
Share:

সম্প্রতি সর্বশিক্ষা মিশনের রিপোর্ট প্রকাশের পর বহু সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুলের পরিকাঠামোর ঘাটতি সামনে এসেছে। সেই ঘাটতি পূরণে এ বার স্কুল কর্তৃপক্ষের থেকে উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় আর্থিক প্রস্তাব তলব করল স্কুলশিক্ষা দফতর। বিরোধীরা অবশ্য এই তৎপরতাকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে চমক বলেই দাবি করছেন। বিকাশ ভবন সূত্রের খবর, সম্প্রতি জেলা স্কুল পরিদর্শকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রতিটি স্কুলের থেকে উন্নয়নের জন্য আর্থিক প্রস্তাব সংগ্রহ করতে হবে। এবং তা দ্রুত দফতরে পাঠাতে হবে। তার ভিত্তিতে অর্থ বরাদ্দ করবে সরকার। প্রতি বছরই এ রকম প্রস্তাব চাওয়া হয়।

Advertisement

তবে এ বার প্রস্তাব জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যোগ হয়েছে নয়া শর্তও। দফতরের এক কর্তা জানান, শর্ত হল জেলা পরিষদ বা পুরসভার কোনও এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে দিয়ে স্কুলের পরিকাঠামো সংক্রান্ত রিপোর্ট তৈরি করতে হবে। তার ভিত্তিতে অর্থ বরাদ্দ করবে দফতর। কারণ তাঁরা মনে করছেন সর্বশিক্ষার এই রিপোর্ট নির্বাচনের সময়ে জনমানসে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করছে। কোথাও ক্লাসরুমের অভাব, কোথাও পর্যাপ্ত পরিকাঠামোর অভাবের অভিযোগ উঠেছে। তার উপর স্কুলে নীল সাদা রং করাকে কেন্দ্র করে বিতর্কও হয়েছে। কিন্তু সরকার যে স্কুলের পরিকাঠামোর উন্নতি করতে চায়, সেই বার্তা পৌঁছয়নি। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষের গড়িমসিকেই দায়ী করছেন দফতরের কর্তারা। তাই জেলা স্কুল পরিদর্শকদের বিষয়টি কড়া ভাবে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তবে সিপিআইয়ের শিক্ষক নেতা স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘আগেও বহু প্রস্তাব জমা পড়েছে। ফের নতুন প্রস্তাবের অর্থ হল নির্বাচনের আগে নতুন টোপ। এটা চমক ছাড়া আর কিছুই নয়।’’ বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘পরিকাঠামোর বেহাল দশার বিষয়টি সরকারের অনেক আগেই জানা ছিল। আগেই পদক্ষেপ করার প্রয়োজন ছিল। এখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন