State News

মেয়ে কার, পরীক্ষা হবে এসএসকেএমে

গত ১৫ ডিসেম্বর বহরমপুরের বেগমবাড়ির বাসিন্দা আজফারুলের স্ত্রী একটি নার্সিংহোমে সন্তান প্রসব করেন। শিশুকে মায়ের কোলে দেওয়ার পরেই সন্দেহ হয়, সন্তানটি তাঁদের নয়। শিশু বদলে গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ মে ২০১৮ ০৩:৫৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

মুর্শিদাবাদের আজফারুল ইসলামের কন্যাসন্তান আসলে তাঁরই ঔরসজাত কি না, তা জানতে ডিএনএ পরীক্ষা করানোর নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। ডিএনএ না মিললে তাঁর শিশু চুরি নিয়ে তদন্তের দাবি তুলে ফের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারবেন আজফারুল।

Advertisement

গত ১৫ ডিসেম্বর বহরমপুরের বেগমবাড়ির বাসিন্দা আজফারুলের স্ত্রী একটি নার্সিংহোমে সন্তান প্রসব করেন। শিশুকে মায়ের কোলে দেওয়ার পরেই সন্দেহ হয়, সন্তানটি তাঁদের নয়। শিশু বদলে গিয়েছে। কন্যাশিশুটিকে দেখে সদ্যোজাত বলেও মনে হয়নি দম্পতির। থানায় অভিযোগ করে দাবি করেছিলেন, ডিএনএ পরীক্ষা হোক। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টে সুরাহা না পেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন আজফারুল।

আজফারুলের দাবি ছিল, মুর্শিদাবাদে নয়, কলকাতার কোনও হাসপাতালে ডিএনএ পরীক্ষা হোক। তাঁর আইনজীবী কবীরশঙ্কর বসু বলেন, ‘‘রাজ্য চাইছিল, তাদের পছন্দমতো হাসপাতালে ডিএনএ পরীক্ষা হবে। কিন্তু আমাদের দাবি মেনে বিচারপতি এন ভি রামান্না ও বিচারপতি এস আব্দুল নাজিরের বেঞ্চ এসএসকেএমেই ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে। রাজ্য সরকারকে তার ব্যবস্থা করে দিতেও বলা হয়েছে।’’

Advertisement

আজফারুলের তরফে আজ কোর্টে অভিযোগ করা হয়, সুপ্রিম কোর্টে মামলা ওঠার পরেই পুলিশের তরফে তাঁকে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে যেতে বলা হয়েছিল। কবীরশঙ্কর বলেন, ‘‘পুলিশের দাবি ছিল, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই তারা কাজ করছে। আমরা আজ আদালতকে তা জানিয়েছি। উত্তরবঙ্গে যে শিশু চুরির ইতিহাস রয়েছে, তা-ও সুপ্রিম কোর্টকে জানানো হয়েছে।’’ আগেও পুলিশ, নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের তরফে আপসে মিটিয়ে নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল বলে আজফারুলের অভিযোগ। আজফারুল অবশ্য ওই শিশুকন্যার ভরণপোষণ করছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন