পঞ্চায়েত ভোটে নিরাপত্তার বন্দোবস্ত নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যাহত।
কোন বুথে কী ভাবে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয় রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে। এ বিষয়ে ধোঁয়াশা বজায় রেখেছে রাজ্য সরকারও। ভিন্ রাজ্য থেকে পুলিশ আনার ব্যাপারে চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্য সরকার। সোমবারের মধ্যে তা নিয়ে স্পষ্ট সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে খবর।
সূত্রের দাবি, একটি বুথ নিয়ে তৈরি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা ৩০ হাজারের মতো। দু’টি বুথ নিয়ে তৈরি ভোটকেন্দ্র রয়েছে ১১ হাজারের সামান্য বেশি। তিন হাজার ভোট কেন্দ্র রয়েছে তিনটি বুথের সমন্বয়ে। চারটির ক্ষেত্রে ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা সাড়ে তিনশোর আশেপাশে। পাঁচটি বুথ মিলিয়ে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা তিরিশটির মতো। এছাড়াও রয়েছে ছ’টি বা তার বেশি সংখ্যায় বুথ নিয়ে তৈরি ভোটকেন্দ্র। তার উপরে নির্ভর করেই নিরাপত্তা বন্দোবস্ত করতে চাইছে রাজ্য সরকার। যদিও সেখানে অতি স্পর্শকাতর বা স্পর্শকাতর—এমনভাবে বুথের চরিত্র নির্ধারণ করছে না রাজ্য।
এদিনই নিরাপত্তা বন্দোবস্ত নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্যের এজলাসে তা জমা দেওয়ার কথা ছিল রাজ্য এবং কমিশনের তরফে। এদিন সেই মামলার শুনানি
না হওয়ায় তা আদালতে জমা পড়েনি। আগামী মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতির এজলাসে তা জমা দেওয়ার কথা।
বুথের চরিত্র নির্ধারণ করে আগামী সোমবারের মধ্যে কমিশনে রিপোর্ট দেওয়ার কথা জেলা প্রশাসনগুলির। তবে সেখানে বুথ চরিত্র নয়, ভোটকেন্দ্রে থাকা বুথ ভিত্তিক হিসাব দিয়ে রিপোর্ট পাঠানোর জন্য কয়েকটি জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য বলে সূত্রের খবর।