West Bengal News

গুজব ও হিংসা রুখতে কড়া দাওয়াই, রাজ্য জুড়ে গ্রেফতার ৪০

শুক্রবার নবান্নে রাজ্য পুলিশের এডিজি (আইন-শৃঙ্খলা) সিদ্ধনাথ গুপ্তসাংবাদিকদের বলেন, “গুজব-কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত ৪০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরিস্থিতির উপরে নজর রাখা হচ্ছে।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ২০:২০
Share:

প্রতীকী ছবি।

গুজবের জেরে এ রাজ্যে একের পর এক অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে। সম্প্রতি পুলওয়ামা-কাণ্ডের পরে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপে ভুয়ো ভিডিয়ো দেখে শিউরে উঠছেন রাজ্যবাসী!সন্দেহের বশে নিরীহ মানুষকে মারধর করা হচ্ছে। জঙ্গি হামলার পর নদিয়ায় কাশ্মীরের এক শাল ব্যবসায়ীকে মারধর করা হয়। হুমকির মুখে পড়েছেন এই শহরে দীর্ঘ দিনের বাসিন্দা কাশ্মীরি এক চিকিৎসকও।

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিস্থিতি কড়া হাতে মোকাবিলা করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রশাসনিক কর্তাদের। এর পরে তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, গুজব ছড়ানোর নেপথ্যে নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য রয়েছে। এমনকি প্ররোচনামূলক ছবি এবং ভিডিয়ো ছাড়ানো হচ্ছে রাজ্যের বাইরে থেকেও। ইতিমধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন থানায় ২২ মামলা দায়ের হয়েছে। শনিবার রাত পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে ৪০ জনকে। তাঁদেরকে জেরা করে আরও তথ্য পেতে চাইছেন রাজ্য পুলিশের কর্তারা।

শুক্রবার নবান্নে রাজ্য পুলিশের এডিজি (আইন-শৃঙ্খলা) সিদ্ধনাথ গুপ্তসাংবাদিকদের বলেন, “গুজব-কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত ৪০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরিস্থিতির উপরে নজর রাখা হচ্ছে।” এডিজি-র পাশে এ দিন ছিলেন কলকাতা পুলিশের সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিশনার অনুজ শর্মাও। তিনি বলেন, “কঠোর পদক্ষেপের পাশাপাশি সচেতনতার উপরে জোর দেওয়া হচ্ছে। এই ধরনের বিষয় কারও চোখে পড়লে, আমাদের জানান।”

Advertisement

আরও পডু়ন: নিগৃহীত হলেও নাম বলতে চান না উপাচার্য, তদন্ত চায় যাদবপুর

আরও পড়ুন: সল্টলেকে বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে নামালেন কন্ডাক্টর, পায়ের আঙুল বাদ গেল ছাত্রীর

গুজবের জেরে কলকাতার তিলজলা, কসবা, আনন্দপুর, টালিগঞ্জে একাধিক গণপিটুনির মতো ঘটনা ঘটেছে। হাওড়ার জোমজুড়, টিকিয়াপাড়া, জগাছাতে নিগৃহীত হয়েছেন অনেকে। কর্মসূত্রে পূর্ব মেদিনীপুরে থাকেন কলকাতার এক বাসিন্দা, পেশায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ার দীপায়ন ধর। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় যুদ্ধের বিরুদ্ধে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করার পর তাঁকে মারধর-হেনস্থা করা হয়। কাশ্মীরি ব্যবসায়ীকে মারধরের পর এই ঘটনার নিন্দা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘এ বার বাংলার মানুষকে এই নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। যে কাশ্মীরি শালওয়ালা রোজ এসে শাল দিয়ে যান, হঠাৎ তাঁকে দরজা থেকে বার করে দেব? যে চিকিৎসক ২০ বছর ধরে এখানে চিকিৎসা করছেন, হঠাৎ করে তাঁর উপর হামলা হবে কেন? কারা এত লাটসাহেব?’’

(বাংলার রাজনীতি, বাংলার শিক্ষা, বাংলার অর্থনীতি, বাংলার সংস্কৃতি, বাংলার স্বাস্থ্য, বাংলার আবহাওয়া -পশ্চিমবঙ্গের সব টাটকা খবর আমাদের রাজ্য বিভাগে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন