Teacher

শিক্ষকদের ক্লাস ফাঁকি রুখতে চান শিক্ষামন্ত্রী

উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রেও শিক্ষকদের হাজিরা-সহ কিছু কড়াকড়ির বিধান এনে বিশ্ববিদ্যালয় আইন সংশোধন করতে চায় রাজ্য।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৪:৪৮
Share:

পার্থ চট্টোপাধ্যায়

হাজিরা খাতায় সই করেও শিক্ষকদের একাংশের ক্লাসে ফাঁকি দেওয়ার রেওয়াজে বদল ঘটাতে চায় শিক্ষা দফতর। তার জন্য সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে উপায় বার করার চেষ্টা হচ্ছে বলে বিধানসভায় জানালেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

Advertisement

তৃণমূলের বিধায়ক জ্যোতির্ময় করের একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে সোমবার শিক্ষামন্ত্রী জানান, স্কুলের নানা স্তরে শিক্ষক ও ছাত্রের অনুপাত সামঞ্জস্যপূর্ণ করার যথাসম্ভব চেষ্টা হয়েছে। কোথায় কত শিক্ষক আছেন, তা জানার জন্য অনলাইন ব্যবস্থায় যাওয়া হচ্ছে। এই সূত্রেই পার্থবাবুর মন্তব্য, ‘‘শিক্ষক থাকলেও আদৌ ক্লাস হচ্ছে কি না, দেখার উপায় নেই। এক জন শিক্ষক এসে চট করে স্বাক্ষর করে বেরিয়ে গিয়ে যদি দুর্ঘটনায় মারা যান, তা হলেও তিনি খাতা অনুযায়ী স্কুলে এসেছেন! এটা বহু বছরের অভ্যাস! আমি গায়ের জোরে কিছু বদল করতে চাই না। সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলব, কী ভাবে অভ্যাস বদল করা যায়।’’

উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রেও শিক্ষকদের হাজিরা-সহ কিছু কড়াকড়ির বিধান এনে বিশ্ববিদ্যালয় আইন সংশোধন করতে চায় রাজ্য। তবে প্রথমে পরিকল্পনা থাকলেও বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের প্রথম পর্বের শেষ দিনে ওই বিল পেশ না করে স্থগিত রাখা হয়েছে। পরবর্তী পর্যায়ে দফাওয়াড়ি বাজেট অধিবেশন শুরু হবে ১৩ মার্চ।

Advertisement

বিধানসভায় শিক্ষামন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যে এখন এক জন শিক্ষক পিছু ছাত্রের অনুপাত প্রাথমিকে ২০, উচ্চ প্রাথমিকে ৪০, মাধ্যমিকে ৪১ এবং উচ্চ মাধ্যমিকে ৪৯। পার্থবাবুর দাবি, ‘‘এই অনুপাতের মধ্যে আমরা সামঞ্জস্য আনার চেষ্টা করেছি। নিয়োগ হয়েছে ১ লক্ষ। ছাত্র, শিক্ষকের কোথায় কত ঘাটতি, এ সব জানতে অনলাইন ব্যবস্থায় চলে যাচ্ছি। কলকাতায় প্রায় ২০০টা স্কুল ছিল, যেখানে ছাত্র ছিল না! এর সংখ্যা কমানো হয়েছে।’’

শিক্ষামন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, শিশু শিক্ষা কেন্দ্র (এসএসকে) এবং মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রের (এমএসকে) ক্ষেত্রে যেগুলো স্কুলের কাছে আছে, সেগুলোকে সংযোজিত করার চেষ্টা হবে। ক্লাব বা অন্য কোনও জায়গায় শিক্ষা কেন্দ্র থাকলে কিছু করা যাবে না। পার্থবাবুর বক্তব্য, ‘‘বয়স ৬০-এর মধ্যে এবং যোগ্যতা থাকলে এমএসকে, এসএসকে-র শিক্ষকেরা পার্শ্ব-শিক্ষকের বিকল্প সুযোগ নিতে পারেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন