প্রতীকী ছবি।
রাজ্যের সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজগুলিকে অতিথি শিক্ষকদের বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে তথ্য পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে উচ্চশিক্ষা দফতর। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় শুক্রবার ঝাড়গ্রামে জানান, অতীতে অতিথি শিক্ষক নিয়োগের কোনও ধরাবাঁধা নিয়ম ছিল না। কী পদ্ধতিতে ওই শিক্ষকদের নেওয়া হয়েছে, তা বুঝতেই এখন যাবতীয় তথ্য সংগ্রহে উদ্যোগী হয়েছে উচ্চশিক্ষা দফতর।
শিক্ষামন্ত্রী এ দিন বলেন, ‘‘অতিথি শিক্ষকদের নিয়মিত নেওয়ার তো কোনও কথা ছিল না। কিন্তু অনেক নিয়োগ হয়েছে? কী যোগ্যতায় নিয়োগ, সেটা কলেজই ঠিক করেছে। সরকারের অনুমোদন ছিল কি না, সেটাও দেখা দরকার।’’ এখন অতিথি শিক্ষক নিয়োগ করতে হলে উচ্চশিক্ষা দফতরকে জানিয়ে তবেই তা করতে হবে বলে জানান পার্থবাবু।
সরকার তাদের দিকে তাকায় না বলে অভিযোগ গেস্ট লেকচারার অ্যাসোসিয়েশনের। সংগঠনের নেতা গোপালচন্দ্র ঘোষ জানান, রাজ্যে অতিথি শিক্ষকের সংখ্যা প্রায় ১২ হাজার। এটা পূর্ণ সময়ের শিক্ষকের থেকে বেশি। অথচ অতিথি শিক্ষকেরা পারিশ্রমিক পান আড়াই হাজার থেকে ছ’হাজার টাকা। নির্দিষ্ট বেতন-কাঠামো ছাড়াও স্থায়ীকরণ, ৬০ বছর পর্যন্ত চাকরির দাবি তুলেছে ওই সংগঠন। শিক্ষামন্ত্রী জানান, নতুন কর্মসংস্থানের পাশাপাশি ওঁদের জন্য সরকার কী করতে পারে, তা-ও খতিয়ে দেখা হবে। সমন্বয় করতে হবে।
গোপালবাবু বলেন, ‘‘মাস তিনেক আগে অতিথি শিক্ষকদের তথ্য শিক্ষামন্ত্রীকে দেওয়া হয়েছিল। তিনি আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু এখনও বসেননি।’’ উচ্চশিক্ষা দফতর নতুন করে তথ্য চাওয়ায় গোপালবাবুরা মনে করছেন, এ বার কিছু একটা করা হবে।