ভোটচিত্র স্বচ্ছ করতে ক্যামেরায় স্মৃতি-কার্ড

পাহাড়, জঙ্গলমহল বা সুন্দরবনের বুথে কেমন ভোট চলছে, দিল্লির নির্বাচন সদন থেকেও সরাসরি তাতে নজর রাখতে পারেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কর্তারা। কিন্তু নেটওয়ার্কের সমস্যায় যদি হঠাৎ ‘লাইভ ওয়েব কাস্টিং’ বন্ধ হয়ে যায়? তখন তো সেখানকার ভোটচিত্র অস্পষ্টই থেকে যাবে কমিশনের কর্তাদের কাছে!

Advertisement

প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ

শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০১৯ ০৪:০৫
Share:

—ফাইল চিত্র।

পাহাড়, জঙ্গলমহল বা সুন্দরবনের বুথে কেমন ভোট চলছে, দিল্লির নির্বাচন সদন থেকেও সরাসরি তাতে নজর রাখতে পারেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কর্তারা। কিন্তু নেটওয়ার্কের সমস্যায় যদি হঠাৎ ‘লাইভ ওয়েব কাস্টিং’ বন্ধ হয়ে যায়? তখন তো সেখানকার ভোটচিত্র অস্পষ্টই থেকে যাবে কমিশনের কর্তাদের কাছে!

Advertisement

এই সমস্যার মোকাবিলায় ওয়েব কাস্টিংয়ে ব্যবহৃত ইপি ক্যামেরায় এ বার ‘ইনবিল্ড মেমরি কার্ড’ রাখার ব্যবস্থা করছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসার (সিইও)-এর দফতর।

এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ৭৮,৭৯৯টি বুথ রয়েছে। নতুন ভোটার তালিকা প্রকাশের পরে আরও কয়েকটি বুথ সংযোজিত হবে বলে জানাচ্ছেন সিইও দফতরের কর্তারা। তার প্রায় ১৫-২০ শতাংশ বুথে লাইভ ওয়েব কাস্টিংয়ের ব্যবস্থা করতে পারে সিইও দফতর। কোথাও নেটওয়ার্ক ওঠানামার সমস্যার জন্য লাইভ ওয়েব কাস্টিং বন্ধ হয়ে য়েতে পারে। তবে ইনবিল্ড মেমরি কার্ড সংবলিত ইপি ক্যামেরায় ধারাবাহিক রেকর্ড হতে থাকবে। পরবর্তী কালে প্রয়োজন অনুযায়ী সেই অসম্পাদিত ফুটেজ ব্যবহার করতে পারবে কমিশন। সেই জন্যই ইনবিল্ড মেমরি কার্ডের ব্যবস্থা। লোডশেডিং হলেও যাতে সমস্যা না-হয়, সেই জন্য সরবরাহকারী সংস্থাকে সাত-দশ ঘণ্টা চলার মতো ব্যাটারি দিতে বলেছে সিইও দফতর। থাকছে ‘পাওয়ার ব্যাঙ্ক’-এর ব্যবস্থাও।

Advertisement

রাজ্যের প্রায় ৩৫০০ বুথ ভয়েস এবং ইন্টারনেট ‘শ্যাডো জ়োন’ রয়েছে। তা কাটাতে বৃহস্পতিবার চারটি মোবাইল পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার সঙ্গে বৈঠকে বসেন সিইও আরিজ আফতাব এবং অন্যান্য পদস্থ আধিকারিক। কমিশন সূত্রের খবর, বিএসএনএল ছাড়া বাকি তিনটি সংস্থার তরফে এ দিন একটি রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, প্রায় ৫০০টি বুথ কম হয়েছে। ১৭ জানুয়ারি বিএসএনএলের রিপোর্ট দেওয়ার কথা। বন্দর এলাকায় অন্য তিনটি সংস্থা ‘শ্যাডো জ়োন’-এর কথা বললেও বিএসএনএল জানিয়েছে, তাদের নেটওয়ার্ক পর্যাপ্ত।

ওই চারটি সংস্থার সঙ্গে ফেব্রুয়ারিতে আবার বৈঠক করবেন সিইও দফতরের কর্তারা। তার পরে যে-এলাকায় যে-সংস্থার নেটওয়ার্ক পর্যাপ্ত, তাদের সিমকার্ড ব্যবহারের করার রূপরেখা স্থির করবেন তাঁরা। আর যেখানে কোনও সংস্থারই নেটওয়ার্ক কাজ করবে না অর্থাৎ ‘শ্যাডো জ়োন’ বুথে বিকল্প পথ খুঁজতে চান কর্তারা। সে-ক্ষেত্রে যেখানে নেটওয়ার্ক কাজ করবে, সেখানে গিয়ে সেক্টর অফিসার সংশ্লিষ্ট বুথে ঘণ্টা-পিছু ভোট পড়ার হার দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারদের জানিয়ে দিতে পারেন। দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘শ্যাডো জ়োন নিয়ে বিকল্প রাস্তা কী হবে, তা ফেব্রুয়ারির পরে স্থির করা হতে পারে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন