ডেভি নিয়ে কোর্ট শর্ত মানলে রাজ্যও রাজি

প্রশাসনিক ব্যাখ্যা, রীতি অনুযায়ী সে-দেশের আদালতের সম্মতি নিয়ে ডেভিকে ভারতে পাঠাতে পারে ডেনমার্ক। ভারতে নিয়ে এলেই মূল মামলা যে-আদালতে রয়েছে, তাঁকে সেখানে হাজির করাতে হবে।

Advertisement

চন্দ্রপ্রভ ভট্টাচার্য

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০১৮ ০৫:৩৮
Share:

ফাইল চিত্র

পুরুলিয়া অস্ত্রবর্ষণ মামলায় মূল অভিযুক্ত কিম পিটার ডেভিকে এ দেশে আনার ব্যাপারে আদালতের দিকেই চোখ রাজ্য সরকারের। ডেভিকে ভারতের হাতে প্রত্যর্পণের জন্য ডেনমার্ক সরকার যে-সব শর্ত দিয়েছে, আদালত তা গ্রাহ্য করলে রাজ্যও সেগুলো মানতে প্রস্তুত বলে কেন্দ্রকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

নবান্ন সূত্রের দাবি, ডেভিকে ভারতে ফেরানোর প্রক্রিয়া নিয়ে কোনও নেতিবাচক অবস্থান নেই রাজ্যের। ওই অভিযুক্তকে ভারতের হাতে ছাড়ার ব্যাপারে দু’টি শর্ত দিয়েছে ডেনমার্ক সরকার। প্রথমত, ডেভিকে সাধারণ সংশোধনাগারে রাখা যাবে না। তাঁর জন্য পৃথক জেল-পরিকাঠামো তৈরি করতে হবে। দ্বিতীয়ত, ডেনমার্ক সরকারের কয়েক জন আধিকারিক এবং পুলিশের উপস্থিতিতে ডেভির সঙ্গে কথাবার্তা বলতে পারবেন সিবিআই বা এ দেশের অন্য তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা। সরকারি সূত্রের খবর, কেন্দ্রকে জানানো হয়েছে, আদালত ডেনমার্ক সরকারের দেওয়া এই দু’টি শর্ত গ্রাহ্য করলে তা মানতে আপত্তি থাকবে না রাজ্যের।

প্রশাসনিক ব্যাখ্যা, রীতি অনুযায়ী সে-দেশের আদালতের সম্মতি নিয়ে ডেভিকে ভারতে পাঠাতে পারে ডেনমার্ক। ভারতে নিয়ে এলেই মূল মামলা যে-আদালতে রয়েছে, তাঁকে সেখানে হাজির করাতে হবে। সেই সময় ডেনমার্ক সরকারের দেওয়া শর্তও জানাতে হবে আদালতকে। আদালত রাজি হলে সেই অনুযায়ী যাবতীয় ব্যবস্থা করবে রাজ্য। প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্তার কথায়, ‘‘পুরো বিষয়টি বিচারাধীন বলেই আদালতের মনোভাব না-জেনে কোনও অবস্থান নেওয়া উচিত হবে না। আদালত সম্মতি দিলে রাজ্যের তা মানতে কোনও বাধা নেই। কেন্দ্রকে এ কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’

Advertisement

আধিকারিকদের একাংশের অনুমান, ডেভিকে হাতে পাওয়া প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক দু’দিক থেকেই তাৎপর্যপূ্র্ণ। শেষ পর্যন্ত সেটা ঘটলে প্রায় তিন দশক আগেকার অস্ত্রবর্ষণের প্রকৃত রহস্য স্পষ্ট হবে। এর আগে ডেনমার্ক থেকে অস্ত্রবর্ষণের কারণ নিয়ে একাধিক তত্ত্ব তুলে ধরেছিলেন ডেভি। কিন্তু এ দেশের আইন অনুযায়ী সেগুলো গ্রাহ্য নয়।

১৯৯৫ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাতে পুরুলিয়া জেলার ঝালদা, বেলামু, মারামু-সহ সাতটি গ্রামে ‘আন্টোনভ এএন-২৬’ বিমান থেকে অস্ত্র বর্ষণ করা হয়েছিল। ব্রিটিশ নাগরিক পিটার ব্লিচ, লাটভিয়ার কিছু নাগরিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরে তাঁরা ছাড়া পেয়ে দেশে ফিরে যান। কিন্তু মূল অভিযুক্ত ডেভিকে এখনও ডেনমার্ক থেকে এ দেশে আনা যায়নি। তাই বন্ধ হয়নি মামলা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন