Dilip Ghosh's Step Son Found Dead

কী ভাবে মৃত্যু দিলীপের স্ত্রী রিঙ্কুর পুত্রের? সামনে এল ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট, কী কী শারীরিক সমস্যা ছিল সৃঞ্জয়ের?

মঙ্গলবার সকালে নিউ টাউনের সাপুরজি আবাসনের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় বছর পঁচিশের যুবক সৃঞ্জয়ের সংজ্ঞাহীন দেহ। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। তার পর ময়নাতদন্ত হয় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০২৫ ২০:২৪
Share:

ছেলের দেহের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন রিঙ্কু মজুমদার। উল্টো দিকে স্বামী দিলীপ ঘোষ। —নিজস্ব চিত্র।

বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদারের একমাত্র পুত্রের রহস্যমৃত্যুর ৭-৮ ঘণ্টা পরে সামনে এল ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট। তাতে কোথাও ‘ফাউল প্লে’ কিংবা আত্মহত্যার উল্লেখ নেই। প্রাথমিক ওই রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, আইটি কর্মী সৃঞ্জয় দাশগুপ্তের হৃদ্‌যন্ত্র, লিভার এবং কিডনি স্বাভাবিকের চেয়ে বড় ছিল। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, রক্তচাপের সমস্যা থাকলে এই লক্ষণগুলি দেখা যায়।

Advertisement

মঙ্গলবার সকালে নিউ টাউনের সাপুরজি আবাসনের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় বছর পঁচিশের যুবক সৃঞ্জয়ের সংজ্ঞাহীন দেহ। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। ময়নাতদন্তের জন্য দিলীপের স্ত্রীর প্রথম পক্ষের ছেলের দেহ নিয়ে যাওয়া হয় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে। সেখান থেকে দেহ নিয়ে যাওয়া হয় নিমতলা শ্মশানে।

হাসপাতালের একটি সূত্রে খবর, পৌনে ৫টা নাগাদ ময়নাতদন্ত হয়েছিল। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণের পরে চিকিৎসকেরা ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলেছেন, মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণ, অ্যাকিউট হেমরেজিক প্যানক্রিয়াটাইটিস। অর্থাৎ, অগ্ন্যাশয়ে কোনও প্রদাহ হয়েছিল। তা ছাড়া, হৃদ্‌যন্ত্রের আকার স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ছিল সৃঞ্জয়ের। অগ্ন্যাশয়ে রক্তক্ষরণ থেকে মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিক রিপোর্টে আভাস পাওয়া গিয়েছে। এ-ও জানা যাচ্ছে, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে মৃত্যু হয়েছিল রিঙ্কুর পুত্রের।

Advertisement

দিলীপের সঙ্গে বিজেপি নেত্রী রিঙ্কুর বিয়ে হয় গত ১৮ এপ্রিল। তাঁর বিয়ের ২৫ দিনের মাথায় ছেলের আকস্মিক মৃত্যুতে স্বাভাবিক ভাবে হতবাক রিঙ্কু। স্বামী দিলীপও স্তম্ভিত। নিমতলা শ্মশানে সৃঞ্জয়ের দেহের সামনে দাঁড়িয়ে দিলীপ বলেন, ‘‘মায়ের সব কিছু ছিল ছেলে। অনেক কষ্টে ওকে মানুষ করেছে। ছেলেও সর্বগুণসম্পন্ন। পড়াশোনায় ভাল। দেখতে-শুনতে ভাল। ভাল কথা বলত। কখনও ভাবিনি এমন কিছু হতে পারে...দুর্ভাগ্য আমার। পুত্রসুখ হয়নি। পুত্রশোক হল। কল্পনাই করিনি।’’ স্ত্রী রিঙ্কু জানান, তাঁর বিয়ের পরে ছেলে কিছুটা মনমরা ছিলেন। খাওয়া-দাওয়া ঠিক করে করতেন না। স্নায়ুর অসুখ ছিল। ওষুধপত্রও ঠিকঠাক খেতেন না তিনি ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement