আরও কত ধর্ষণের ঘটনা ঘটলে আমরা সংবেদনশীল হতে শিখব? আরও কত পথ হাঁটলে আমরা ন্যূনতম সভ্যতার দিকে এগোতে পারব? আরও কত মোমবাতি মিছিল আমাদেরই ঘিরে থাকা অন্ধকারকে দূর করতে পারবে?
সলমন খানের একটা বিবৃতি আমাদের নতুন করে এই প্রশ্নগুলোর মুখে দাঁড় করিয়ে দিল। শুটিংয়ের ক্লান্তি বোঝাতে ধর্ষিতার সঙ্গে নিজেকে তুলনা করলেন সলমন। ধর্ষণের মতো একটা ন্যক্কারজনক ঘটনা, তার শিকার যিনি তাঁর যন্ত্রণা-লাঞ্ছনা-অপমান মুহূর্তে লঘু হয়ে রাস্তায় লুটোতে থাকল সলমন খানের দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্যে।
বস্তুত, সলমন বাধ্য করলেন আমাদের আয়নার সামনে দাঁড়াতে। আমরা ধর্ষণের ঘটনার যারা নিন্দা করি, বিবৃতি দিই, মিছিলে হাঁটি সোশ্যাল মিডিয়ার তুমুল তুফান তুলি, তারা সত্যিই সংবেদনশীল তো? রন্ধ্রে রন্ধ্রে যে পুরুষতান্ত্রিকতা, তা থেকে উত্তীর্ণ হয়ে মনুষ্যত্বের পথের যাত্রার জন্য আদৌ প্রস্তুত হতে পেরেছি তো?
এত কথা বলার কারণ, সোশ্যাল মিডিয়ায় সলমনের নিন্দার ঝড় উঠলেও কান পাতলে এর বাইরের দুনিয়ায় শোনা যাচ্ছে অন্য কথাও, ‘আরে ও তো কিছু মানে করে বলতে চায়নি, আর তাছাড়া এই কথায় ধর্ষিতার প্রতি অসম্মানটাও বা হল কোথায়?’
আদৌ বুঝতে কি পারলাম আমরা, সলমন কোথায় এবং কত বড় অন্যায়টা করেছেন?