অ্যাকাউন্টে টাকা কেন, দায় ঠেলার পালা শুরু

ঢিল পড়তেই তৎপরতা শুরু। আঁচ যাতে নিজের গায়ে না আসে। যক্ষ্মা প্রতিরোধের কেন্দ্রীয় টাকা ব্যক্তিগত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মজুতের খবর ফাঁস হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের যক্ষ্মা বিভাগের কর্মী-কর্তাদের মধ্যে দায় সরিয়ে নিজে বাঁচার প্রতিযোগিতা চলছে। বেরিয়ে আসছে নতুন নতুন তথ্যও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০১৬ ০৩:৩২
Share:

ঢিল পড়তেই তৎপরতা শুরু। আঁচ যাতে নিজের গায়ে না আসে। যক্ষ্মা প্রতিরোধের কেন্দ্রীয় টাকা ব্যক্তিগত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মজুতের খবর ফাঁস হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের যক্ষ্মা বিভাগের কর্মী-কর্তাদের মধ্যে দায় সরিয়ে নিজে বাঁচার প্রতিযোগিতা চলছে। বেরিয়ে আসছে নতুন নতুন তথ্যও।

Advertisement

তালিকায় নাম থাকা একাধিক কর্মী আঙুল তুলছেন যক্ষ্মা বিভাগের অস্থায়ী অ্যাকাউন্ট্যান্ট আশিস রায়ের দিকে। অভিযোগ: কেন্দ্রের দেওয়া যক্ষ্মা নিবারণ কর্মসূচির অগ্রিম অর্থ তাঁদের ব্যক্তিগত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রাখার জন্য চাপ সৃষ্টি করতেন আশিসবাবুই। বিভাগের স্টেট অ্যাকাউন্টস অফিসার ইন্দ্রাণী মণ্ডলের কথায়, ‘২০১৩-য় জয়েন করেছি। তখন থেকেই আশিসবাবু জোর করতেন, প্রজেক্টের টাকার যেন নিজের অ্যাকাউন্টে রাখি। আমার নামে আসা চেক ভাঙিয়ে নগদ টাকা ওঁর হাতে তুলে দেওয়া হতো।’’ সে টাকা দিয়ে কী করা হতো, আশিসবাবু তা তাঁকে জানাননি বলে ইন্দ্রাণীদেবীর দাবি। কিন্তু অনিয়ম হচ্ছে জেনেও ব্যাপারটা তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের গোচরে আনেননি কেন?

ইন্দ্রাণীদেবীর কাছে জবাব মেলেনি। তাঁর স্বামী কমল মুখোপাধ্যায় স্বাস্থ্য দফতরের ফিনান্স ম্যানেজমেন্ট সেলের অ্যাকাউন্টস ম্যানেজার। অভিযোগ, কেন্দ্রের টাকা যে কর্মী-চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে ঢুকছে, সেটা কমলবাবুরও জানা ছিল। তিনি সক্রিয় হননি কেন জানতে চাইলে কমলবাবুর জবাব, ‘‘আশিসবাবু আমাদের বস। উনি সব জানতেন। ওঁকেই জিজ্ঞাসা করুন।’’

Advertisement

আশিস রায়ের দাবি, এ সব কাজের স্বার্থেই। ‘‘কর্মসূচি ভাল ভাবে চালাতে সব কিছু করা হয়েছে। সব ক্ষেত্রে হয়তো ভাউচার ঠিক সময় মতো জোগাড় করা যায়নি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন