ভোটের দিনে তাপস চট্টোপাধ্যায়।—নিজস্ব চিত্র
প্রার্থী না প্রতীক?
কাকে বাছবেন তা নিয়ে ধন্দে পড়ে গিয়েছিলেন পূর্বতন রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভার প্রাক্তন সিপিএম কাউন্সিলর গোপা চট্টোপাধ্যায়।
এত দিনের অভ্যাস ভুলে বামেদের বদলে তৃণমূলের প্রার্থীকেই ভোট দেওয়ার ব্যাপারে মনস্থির করেছেন গোপাদেবী। রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভার তিন বারের চেয়ারম্যান তথা গোপাদেবীর স্বামী তাপস চট্টোপাধ্যায় এ বার সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলের প্রার্থী। স্বামীর বিরুদ্ধে ভোট দেন আর কী করে? তাপসবাবুর দলবদলের পর গত কয়েকমাস ধরে পুরনো অভ্যাস, চিন্তাভাবনা আর প্রতীকের মোহ কাটিয়ে ধীরে ধীরে বেরিয়ে এসেছেন গোপাদেবীও। শনিবার জোড়াফুলে ছাপ দেওয়ার লক্ষ্যে মনকে প্রস্তুত করেছেন।
বিধাননগরের ভোটে পুলিশের ভূমিকা নীরব দর্শকের
অচেনা যুবক দেখিয়ে দিল কোথায় ভোট দিতে হবে
এ কেমন ভোট! এরা কারা সল্টলেকে?
সাংবাদিকদের বেধড়ক পেটাল তৃণমূলের গুন্ডারা
বহিরাগত তাণ্ডব, অবাধে ভোট লুঠল শাসক দল
রাজারহাট-গোপালপুর যখন পঞ্চায়েত ছিল, তখন থেকেই রাজনীতিতে তাপসবাবু। পঞ্চায়েত আর পুরসভা মিলিয়ে মোট ন’বার নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন। জিতেওছেন। কিন্তু এ বারের মতো লড়াইতে কখনও পড়েননি। শুক্রবার রাতে ঘুম হয়নি। সারা রাত ব্যস্ত ছিলেন দফায় দফায় বৈঠক করতে। সকালে স্নান সেরে বাড়ি থেকে বেরনোর সময় একমাত্র শখ পারফিউম ছেটানোর কথাও ভুলে গিয়েছেন তিনি। পথে এক সংখ্যালঘু সমর্থকের কাছ থেকে আতর চেয়ে মেখে নিয়েছেন গায়ে।
তাপসবাবুকে সামনে পেয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন বাম প্রার্থী। বললেন, কোনও বুথে তাঁর এজেন্টদের বসতে দেওয়া হচ্ছে না। ক্ষোভ সামাল দিয়ে এগিয়ে গেলেন তাপস। তার পর বললেন, “এই বামপ্রার্থীর ওপেন হার্ট সার্জারি করে বুকে যন্ত্র বসানোর ব্যবস্থাও আমিই করে দিয়েছি।”