পুলিশ কেন ডাকেননি উপাচার্য, বেসুরো সুব্রত মুখোপাধ্যায়

শনিবার তৃণমূলের একটি দলীয় অনুষ্ঠানের পরে সুব্রতবাবু বলেন, ‘‘পুলিশকে কেন ঢুকতে দেওয়া হল না? টিভিতে উপাচার্য প্রকাশ্যেই বলেছেন, পদত্যাগ করব কিন্তু ভিতরে পুলিশ ঢুকতে দেব না। তার পরে কোন মুখ্যমন্ত্রীর হিম্মৎ আছে যে ওখানে পুলিশ পাঠায়!’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৪:২১
Share:

ঢাকুরিয়ার হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। শনিবার। নিজস্ব চিত্র

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পুলিশ ডাকেননি কেন— প্রশ্ন তুলে বিতর্ক তৈরি করলেন রাজ্যের প্রবীণ মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা রাজ্যপাল কেন উপাচার্যকে পুলিশ ডাকতে বাধ্য করেননি, তা নিয়েও প্রশ্ন তুললেন তিনি। তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য সুব্রতবাবুর এই বক্তব্যকে তাঁর ব্যক্তিগত মতামত বলে দাবি করেছেন।

Advertisement

শনিবার তৃণমূলের একটি দলীয় অনুষ্ঠানের পরে সুব্রতবাবু বলেন, ‘‘পুলিশকে কেন ঢুকতে দেওয়া হল না? টিভিতে উপাচার্য প্রকাশ্যেই বলেছেন, পদত্যাগ করব কিন্তু ভিতরে পুলিশ ঢুকতে দেব না। তার পরে কোন মুখ্যমন্ত্রীর হিম্মৎ আছে যে ওখানে পুলিশ পাঠায়!’’ বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে ছাত্র-বিক্ষোভ থেকে ‘উদ্ধার’ করতে সেখানে রাজ্যপাল জগদীশ ধনখড়ের চলে যাওয়ারও সমালোচনা করেছেন সুব্রতবাবু। তাঁর মন্তব্য, ‘‘উচ্চপদে যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা বীরত্ব দেখানোর জন্য উদ্ধার করতে চলে যাচ্ছেন। এটা কী রাজনীতি হচ্ছে!’’ রাজ্যপাল নিজে ঘটনাস্থলে না গিয়ে কেন আচার্য হিসেবে উপাচার্যকে পুলিশ ডাকতে বলেননি, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সুব্রতবাবু।

রাজ্যপাল রাজ্য প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন বলে প্রথম থেকেই তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছে। এ দিনও সেই সুর কার্যত বজায় রেখেছেন শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। রাজ্যপাল নিজে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের মর্যাদা যাতে অক্ষুণ্ণ রাখেন, সেই আবেদনও জানিয়েছেন তিনি। তবে উপাচার্যের ভূমিকা প্রসঙ্গে সুব্রতবাবুর মন্তব্যের সঙ্গে তৃণমূল যে ‘সহমত’ নয়, তা স্পষ্ট করেই পার্থবাবু বলেছেন, ‘‘দলের উপরে কেউ নন। দলের যা মত তা বিবৃতিতে প্রতিফলিত হয়েছে। ব্যক্তিগত ভাবে উনি কিছু মনে করতেই পারেন। সেটা ওঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এ ব্যাপারে আমার কিছু বলার নেই।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন