সার্কিট বেঞ্চ

রাষ্ট্রপতির অনুমতির অপেক্ষায়

রাষ্ট্রপতির অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত জলপাইগু়ড়ি সার্কিট বেঞ্চ নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ করবে না বলে কেন্দ্রকে জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট প্রশাসন। সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে এই কথা জানান, কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল কৌশিক চন্দ।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০২:৩৬
Share:

রাষ্ট্রপতির অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত জলপাইগু়ড়ি সার্কিট বেঞ্চ নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ করবে না বলে কেন্দ্রকে জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট প্রশাসন। সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে এই কথা জানান, কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল কৌশিক চন্দ।

Advertisement

জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ নিয়ে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। তার মধ্যে জনস্বার্থ মামলাও রয়েছে। প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে এতদিন মামলাগুলির শুনানি চলছিল। প্রধান বিচারপতি মামলাগুলি বিচারপতি বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়েছেন। এ দিন জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে ওই কথা জানান কৌশিকবাবু।

এর ফলেই সার্কিট বেঞ্চ উদ্বোধন নিয়ে আপাতত সব জল্পনার অবসান ঘটল। একই সঙ্গে কবে বেঞ্চ উদ্বোধন হতে পারবে তা নিয়ে শুরু হল অনিশ্চয়তার। এ দিন সোমবারে কলকাতা হাইকোর্টে বেঞ্চ নিয়ে মামলার শুনানির পর এমনটাই মনে করছেন জলপাইগুড়ির আইনজীবীদের বড় অংশ। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে অতিরিক্ত সলিসিটার জেনারেল জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত সার্কিট বেঞ্চ নিয়ে হাইকোর্ট প্রশাসন নতুন করে কোনও পদক্ষেপ করবেন না।

Advertisement

বেশ কিছুদিন ধরে কবে বেঞ্চ উদ্বোধন হতে পারে তা নিয়ে জল্পনা চলছিল। কোনও কোনও তরফে বেশ কিছু তারিখও জানানো হচ্ছিল। প্রশাসনের তরফে অবশ্য সেই সব তারিখের কোনও ভিত্তি কখনওই স্বীকার করা হয়নি। এ দিন হাইকোর্টে শুনানির পরে জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, “কয়েকদিন ধরে আমরাও নানা জল্পনা শুনে গিয়েছি। তার কোনও বাস্তবভিত্তি ছিল না। এ দিনের ঘোষণার পরে সেই সব জল্পনা আর উড়ে বেড়াবে না বলেই আশা করি। বেঞ্চের যাবতীয় পরিকাঠামো প্রস্তুত হয়ে রয়েছে। যে কোনও দিন উদ্বোধনের দিন স্থির হলে কোনও সমস্যা হবে না।”

সার্কিট বেঞ্চ দাবি আদায় সমন্বয় কমিটি তথা জলপাইগুড়িবার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কমলকৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এ দিনের মন্তব্য, “আপাতত কিছু বলছি না।” তবে রাজ্য বার কাউন্সিলের সদস্য গৌতম দাস বলেন, “জলপাইগুড়িতে বেঞ্চ তৈরির জন্য রাজ্য সরকার সব পক্ষের সঙ্গেই যোগাযোগ রেখে চলেছে। আমার মনে হয় না, এখনই আশা ভঙ্গের কোনও কারণ রয়েছে। ”

এ দিন হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলার আবেদনকারীর আইনজীবী আশিস সান্যাল আদালতে অভিযোগ করেন, রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী এ দিনই সার্কিট বেঞ্চ উদ্বোধন করবেন বলে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। যে বিষয়টি পুরোপুরি বিচার বিভাগের এক্তিয়ারভূক্ত সেই বিষয়ে প্রশাসন কী ভাবে ভূমিকা পালন করবে সেই প্রশ্ন তোলেন আশিসবাবু। তিনি অভিযোগ করেন, সার্কিট বেঞ্চ নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে, যা একেবারেই কাম্য নয়।

একই সঙ্গে ওই আইনজীবী বলেন, হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ জলপাইগুড়িতে হতেই পারে। কিন্তু কলকাতায় যে সব ট্রাইবুনাল কাজ করছে, সেগুলির শাখাও তা হলে জলপাইগু়ডিতে থাকা উচিত। কারণ, কলকাতার ট্রাইবুনালের আপিল মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। জলপাইগু়ড়িতে কেবল সার্কিট বেঞ্চ হলে সেখানকার মানুষকে ট্রাইবুনালে মামলা করার জন্য কলকাতাতেই আসতে হবে। ডিভিশন বেঞ্চ জনিয়েছে, আগামিকাল বেলা একটায় ফের এই মামলার শুনানি হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন