সরকারি অনুমতি ছাড়া বিদেশ ভ্রমণ নয়, আধিকারিক এবং কর্মচারীদের কড়া নির্দেশ মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের

সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বিদেশ সফরের ক্ষেত্রে পূর্বানুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক, এবং সেটি না করলে সংশ্লিষ্ট কর্মীর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক পদক্ষেপ করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০২৫ ১১:১৫
Share:

(বাঁ দিক থেকে) মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, সরকারি কর্মীদের বিদেশ সফর নিয়ে রাজ্য সরকারের সেই নির্দেশিকা। —ফাইল চিত্র।

সরকারি কর্মীদের বিদেশ সফর নিয়ে রাজ্য সরকার কঠোর নির্দেশিকা জারি করল। ব্যক্তিগত বিদেশ সফর, এলটিসি (লিভ ট্রাভেল কনসেশন)-নিয়ে বেড়াতে যাওয়া বা সরকারি কাজের জন্য বিদেশ সফর— যে কোনও ক্ষেত্রেই পূর্বানুমতি ছাড়া ভ্রমণ বা থাকার ব্যবস্থা করা যাবে না, স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। সম্প্রতি নবান্ন থেকে জারি হওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন দফতরের কিছু সরকারি কর্মী বিদেশ সফরের জন্য প্রয়োজনীয় অনুমতি পাওয়ার আগেই ভ্রমণ সংক্রান্ত বুকিং, টিকিট বা হোটেল সংরক্ষণের মতো পদক্ষেপ করছেন। এই ধরনের কাজ প্রশাসনিক নিয়ম লঙ্ঘন করার শামিল। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, “এই ধরনের পদক্ষেপ সরকারি নিয়ম ও প্রক্রিয়াগত নীতির প্রতি অবমাননার শামিল।”

Advertisement

মুখ্যসচিব স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, শুধুমাত্র ভ্রমণ বা থাকার ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে বলে কোনও শিথিলতা দেখানো বা বিশেষ অনুমোদন প্রদান করা হবে না। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বিদেশ সফরের ক্ষেত্রে পূর্বানুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক, এবং সেটি না করলে সংশ্লিষ্ট কর্মীর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক পদক্ষেপ করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ও প্রক্রিয়াগত রীতিনীতি বজায় রাখার স্বার্থে সমস্ত বিভাগীয় প্রধান (এইচওডি)-দের নিশ্চিত করতে হবে যে, সাধারণ পরিস্থিতিতে কোনও কর্মীর ছুটির মেয়াদ শুরুর অন্তত চার সপ্তাহ আগে সফরের অনুমতির আবেদন এই দফতরে পাঠাতে হবে। অর্থাৎ, শেষ মুহূর্তে প্রস্তাব পাঠিয়ে অনুমোদন চাওয়া চলবে না।

নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিদেশ সফর সংক্রান্ত অনুমতি প্রক্রিয়ায় নিয়মিত শৃঙ্খলা আনার জন্যই এই নির্দেশিকা। এর মাধ্যমে কর্মীদের মধ্যে প্রশাসনিক নিয়ম মেনে চলার সংস্কৃতি গড়ে তোলাই মূল লক্ষ্য। রাজ্য সরকারের এক আধিকারিক বলেন, “প্রত্যেকটি সফরের অনুমোদনের জন্য একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া আছে। সেটি উপেক্ষা করে আগে থেকে বুকিং করলে পরবর্তী সময়ে অনুমতি দেওয়া প্রশাসনের পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়ে। তা ছাড়া রাজ্য সরকারের তরফে নজরদারি করে জানা গিয়েছে, বেশ কিছু সরকারি আধিকারিক এবং কর্মচারী আগে থেকে বিদেশ সফরের যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়ার পর নামমাত্র অনুমতির জন্য আবেদন করেন। এই বিষয়টি কোনও ভাবেই মেনে নেবে না নবান্ন, মুখ্যসচিব এই সংক্রান্ত বিষয়ে সরাসরি নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের অতিরিক্ত সচিব বিশেষ সচিব এবং সচিবদের।” মুখ্যসচিবের এই পদক্ষেপে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে বিদেশ সফর সংক্রান্ত অনুমতির প্রক্রিয়া আরও কড়া ও স্বচ্ছ হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement