Fraud

বিয়ের প্রতিশ্রুতির টোপ! ব্ল্যাকমেল করে টাকা হাতানোর অভিযোগে বহরমপুরে গ্রেফতার তরুণী

রাজ্যের বিভিন্ন থানায় তরুণীর নামে একাধিক মামলা রয়েছে। এক এক জায়গায় নিজেকে এক এক নামে পরিচয় দিতেন তিনি। কখনও রঙ্গিলা, কখনও সারা। তাঁর আসল নাম নিয়ে সংশয় রয়েছে পুলিশের।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০২৫ ২০:২৬
Share:

প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার তরুণী। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

প্রথমে প্রেমের অভিনয়, তার পরে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একের পর এক যুবককে প্রতারণা করে টাকা হাতাতেন! শেষ পর্যন্ত প্রতারণার অভিযোগে এক তরুণীকে গ্রেফতার করেছে বহরমপুর থানার পুলিশ। রাজ্যের বিভিন্ন থানায় তাঁর নামে একাধিক মামলা রয়েছে। এক এক জায়গায় নিজেকে এক এক নামে পরিচয় দিতেন তিনি। কখনও রঙ্গিলা, কখনও সারা। তাঁর আসল নাম নিয়ে সংশয় রয়েছে পুলিশের।

Advertisement

তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, একাধিক পুরুষকে বিয়ে করেছিলেন তরুণী। জলঙ্গিতে এক যুবককে বিয়ে করার পরে তাঁর বিরুদ্ধেই মামলা দায়ের করেছিলেন তিনি। বেলডাঙায় স্বাস্থ্যকর্মী এক যুবককে তিনি ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিলেন বলেও অভিযোগ। সমাজমাধ্যমে আলাপ জমানোর পরে ওই যুবককে বিয়ের টোপ দিয়েছিলেন। ওই যুবককে দামি চারচাকা উপহার দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। অভিযোগ, সেই যুবকের কাছে নিজেকে পুলিশ আধিকারিক বলেই পরিচয় দিয়েছিলেন তিনি।

এর পরে যুবকের জন্য গাড়ি কেনার নাম করে তাঁর আধার এবং প্যান কার্ড-সহ বিভিন্ন নথি চেয়ে পাঠিয়েছিলেন তিনি। এমনকি, গাড়ির শোরুম থেকে ভিডিও কল করে যুবককে গাড়ি পছন্দ করতেও বলেছিলেন। কিন্তু তরুণীর আগ্রহ দেখে সন্দেহ হয় যুবকের। গাড়ির শোরুমের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে সেই সন্দেহ আরও বৃদ্ধি পায়। এর পরেই রঙ্গিলাকে ব্লক করে দেন তিনি। যদিও তরুণী তাতে দমেননি। তিনি একাধিক নম্বর থেকে ফোন করে যুবককে হুমকি দিতে শুরু করেন বলে অভিযোগ। নিজেকে পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তা পরিচয় দিয়ে দাবি করেন, তাঁর বাবা লালবাজারের বড় অফিসার। তিনি নিজেও শীঘ্রই বেলডাঙা থানায় যোগ দেবেন এবং যুবককে জেলে পাঠাবেন।

Advertisement

যুবক থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অবশেষে বহরমপুর থানার পুলিশ অন্য এক প্রতারণার মামলায় তরুণীকে গ্রেফতার করে। পুলিশের এক আধিকারিক জানান, রাজ্যের বিভিন্ন থানায় তাঁর নামে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। জলঙ্গিতে বিয়ের ফাঁদ পেতে প্রতারণা চালানোর পাশাপাশি, সেই যুবকের বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করেছিলেন তিনি। এই চক্রে তরুণীর সঙ্গে আর কেউ জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তদন্ত চলছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement