মমতাকে দুষতে গিয়ে বিড়ম্বনায় গডকড়ী

নিশানা করতে চাইলেন তৃণমূল নেত্রীকে। কিন্তু তির ঘুরে গেল নিজেদের দিকে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করতে গিয়ে নিজের দলকে অস্বস্তিতে ফেলে দিলেন বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় ভূতল পরিবহন মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০১৫ ০৩:১৫
Share:

নিশানা করতে চাইলেন তৃণমূল নেত্রীকে। কিন্তু তির ঘুরে গেল নিজেদের দিকে।

Advertisement

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করতে গিয়ে নিজের দলকে অস্বস্তিতে ফেলে দিলেন বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় ভূতল পরিবহন মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী।

‌বুধবার শ্যামবাজারে বিজেপির মহিলা মোর্চার একটি সভায় বক্তব্য রাখছিলেন গডকড়ী। নারী শক্তির বিকাশ ছাড়া দেশের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব নয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘দুর্ভাগ্যের বিষয়, যে রাজ্যে মহিলা মুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন সেখানে মহিলারা সুরক্ষিত নন।’’ গডকড়ীর আগে বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ এ রাজ্যে মহিলারা কতটা বিপন্ন সে বিষয়ে বিশদে বলেন। কিন্তু গডকড়ী নির্দিষ্ট করে এ রাজ্যের কথা বলেননি। মহিলা মুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন গুজরাত ও রাজস্থানেও। এই দু’টি রাজ্যে শুধু মহিলা মুখ্যমন্ত্রীই নয়, তাঁরা বিজেপির নেত্রীও বটে। তাই শুধু পশ্চিমবঙ্গের কথা আলাদা করে না বলায় এই দুই মুখ্যমন্ত্রীর দিকেও একই অভিযোগের আঙুল তোলা হল বলে অনেকেই মনে করছেন। তবে রাহুল সিংহের দাবি, গডকড়ীর বক্তব্যের অপব্যাখ্যা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘গডকড়ী বলেছেন, কোনও রাজ্যে মহিলা মুখ্যমন্ত্রী থাকা সত্ত্বেও যদি মহিলারা সুরক্ষিত না থাকেন, তবে তা দুর্ভাগ্যজনক!’’

Advertisement

রাহুলবাবু তাঁর নেতার মুখ রক্ষার চেষ্টা করলেও, বিজেপি নেতাদের একাংশের ধারণা, দিল্লিতে শীলা দীক্ষিত মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন নির্ভয়া-কাণ্ড নিয়ে হইচই হয়েছিল। সেটা হয়তো গডকড়ীর মাথায় ছিল। কিন্তু সেখানে যে রাজনৈতিক পরিবর্তন হয়েছে, সেটা খেয়াল ছিল না। তৃণমূল নেতৃত্ব বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য না করলেও, দলের এক নেতার তির্যক মন্তব্য, ‘‘নিতিন গডকড়ী মুখ খুললেই ওঁর দলের বিড়ম্বনা বাড়ে।’’

এ দিনের সভায় নারী সুরক্ষা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আগের ইউপিএ সরকারকে দায়ী করেন গডকড়ী। বলেন, সরকারি উদ্যোগের অভাবেই স্বাস্থ্য থেকে শুরু করে শিক্ষা, সব ক্ষেত্রেই নারীরা বঞ্চিত হয়েছেন। বর্তমান বিজেপি সরকারের ‘বেটি বাঁচাও’ প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে তিনি জানান, মধ্যপ্রদেশ-সহ কয়েকটি রাজ্যে মেয়েদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে কমে যাচ্ছে। তাই মোদী সরকার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে।

দেশের নারী সমাজকে নিজেদের অধিকার ও সম্মানের ব্যাপারে সচেতন করতে বিজেপির মহিলা মোর্চা ১৭ জুন দিল্লি থেকে ‘নারী সম্মান যাত্রা’ শুরু করেছিল। এ দিন বিভিন্ন রাজ্য ঘুরে এ রাজ্যে এসে তা শেষ হয়। মহিলা মোর্চার সভানেত্রী বিজয়া রাহাতকর এ দিন বলেন, ‘‘এ রাজ্যে মহিলাদের উপর অত্যাচারের কথা শুনতে পাই। আগেও হতো। এখনও হচ্ছে। তাই, যথার্থ পরিবর্তন চাই এখানে।’’ মোদী সরকার মহিলাদের উন্নয়নে যে সব প্রকল্প ঘোষণা করেছেন, সেগুলিরও উল্লেখ করেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement