রেখা শর্মা। —নিজস্ব চিত্র
অচল চা বাগানের পরিস্থিতি দেখতে এসেছিলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য রেখা শর্মা। কিন্তু প্রশাসন তাঁর সঙ্গে সহযোগিতা করেনি বলে অভিযোগ।
রেখাদেবীর বক্তব্য, মহকুমাশাসক, শ্রম আধিকারিক, বিডিওদের সঙ্গে চা বাগানের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য বৈঠক ডাকা হয়েছিল। কিন্তু তাঁকে না-জানিয়ে তা বাতিল করে দেওয়া হয়। রেখাদেবীর দাবি, ‘‘বাগানগুলির পরিস্থিতি দেখতে এসে প্রশাসনের যথাযথ সহযোগিতা মেলেনি।’’ তিনি জানান, প্রোটোকল অফিসার একদিন এসে পরের দিন থেকে অসুস্থ বলে আসেননি। তাঁর কথায়, ‘‘১২ জানুয়ারি ধূপগুড়ি বিডিও অফিসের হলঘরে মালবাজার, জলপাইগুড়়ি সদরের মহকুমাশাসক, শ্রম আধিকারিক এবং বিডিওদের সঙ্গে বৈঠকের জন্য ই মেলে আমাকে খবর দেওয়া হয়। আমাকে না-জানিয়েই ওই বৈঠক বাতিল করা হয়।’’ তাঁর অভিযোগ, শিলিগুড়ি থেকে যাওয়ার সময় গাড়ির লালবাতি কাজ করছিল না। তা ঠিক করতে বলেছিলেন। অথচ পরে দেখেন, তা খুলে ফেলা হয়েছে। তবে তাঁকে গাড়ি এবং থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রশাসনকে।
জলপাইগুড়ির জেলাশাসকের দায়িত্বে এখন রয়েছেন অতিরিক্ত জেলাশাসক বিশ্বনাথ। তিনি বলেন, ‘‘অসহযোগিতা করা হয়নি।’’ তিনি জানান, জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যার সঙ্গে প্রশাসনের তরফে আধিকারিক ছিলেন। ১২ জানুয়ারি মহিলা কমিশনের ওই সদস্যা বাগানে ঘোরার সময় ফিল্ড অফিসাররা গিয়েছিলেন। তবে বৈঠকের কোনও কথা ছিল না। প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, মহিলা কমিশনের সদস্যেরা যা সুযোগ পান, তার সবই রেখাদেবীকে দেওয়া হয়েছে।
১১ জানুয়ারি থেকে চার দিনে ত্রিহানা, পানিঘাটা, ডুয়ার্সের বান্দাপানি, ঢেকলাপাড়া-সহ আটটি বন্ধ বাগান ঘুরে দেখেন রেখাদেবী। গিয়েছিলেন মকাইবাড়ির মতো ভাল বাগানেও। যা দেখলেন কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারকে তার রিপোর্ট দেবেন। তাঁর কথায়, ‘‘যে অবস্থার কথা শুনে এসেছি, পরিস্থিতি তার থেকেও খারাপ।’’
পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেবের অবশ্য বক্তব্য, চা বাগানের জন্য রাজ্যই যথাসাধ্য করছে। গৌতমবাবু বলেন, ‘‘উনি বরং কেন্দ্রকে বলুন, বাগানের অবস্থার উন্নতি করতে।’’