জেসপের হাল ধরুন মমতা, চাইছেন কর্মীরা

ক’দিন আগেই সিআইডির জালে পড়েছেন জেসপের কর্ণধার পবন রুইয়া। কিন্তু জেসপের কর্মীদের একাংশই এখন চাইছেন, রুইয়াকে সরিয়ে কারখানার হাল ধরুন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রুইয়ার উপযুক্ত শাস্তি দাবি করে বুধবার ধর্মতলায় সভা করেন জেসপের কর্মীরা। কিন্তু ধরা পড়ার পরে আইন মেনে বিচার হওয়ার কথা রুইয়ার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৩:০৩
Share:

মিছিলে জেসপ কর্মীদের পরিবার। ছবি: দেবস্মিতা ভট্টাচার্য।

ক’দিন আগেই সিআইডির জালে পড়েছেন জেসপের কর্ণধার পবন রুইয়া। কিন্তু জেসপের কর্মীদের একাংশই এখন চাইছেন, রুইয়াকে সরিয়ে কারখানার হাল ধরুন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রুইয়ার উপযুক্ত শাস্তি দাবি করে বুধবার ধর্মতলায় সভা করেন জেসপের কর্মীরা। কিন্তু ধরা পড়ার পরে আইন মেনে বিচার হওয়ার কথা রুইয়ার। তা হলে এখন সভা করে লাভটা কী? কারখানার তৃণমূল প্রভাবিত ইউনিয়নের নেতা শ্রীকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‘আমরা চাই জেসপ থেকে রুইয়াকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজে কারখানা পরিচালনার ব্যবস্থা করুন।’’

Advertisement

এক সময়ে জেসপে কাজ করতেন দমদম গোরাবাজারের পার্থ দাস। ২০১৪ থেকে বেতন বন্ধ হওয়ার পরে রিকশা চালানো শুরু করেন। এখনও রিকশা চালিয়েই রোজগার। জেসপের জন্য বরাদ্দ করা মুখ্যমন্ত্রীর তহবিল থেকে মাসে দশ হাজার টাকা করে পান। কিন্তু রাতারাতি নোট বাতিল হওয়ায় সেই টাকা নিয়েও সমস্যায় পড়েছেন তিনি। পার্থবাবুর মতো একই সমস্যায় পড়েছেন নাগেরবাজারের দীপক রাম, হাবরার সুভাষ মিত্র, নিমতার গৌতম দত্ত, রাজারহাটের আনন্দ লাহা। জেসপের কর্মী হিসেবে এঁদের সকলেরই বেতন বন্ধ হয়ে রয়েছে বছর তিনেক।

ধৃত পবন রুইয়ার উপযুক্ত শাস্তি ও নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বুধবার দুপুরে সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে ওয়াই চ্যানেলে মিছিল করে আসেন পার্থবাবুরা। প্রধানমন্ত্রীর কুশপুতুল দাহের পরে সভা করেন তাঁরা। ওই সভা থেকে পাঁচজনের একটি প্রতিনিধি দল বিধানসভায় গিয়ে পবন রুইয়ার উপযুক্ত শাস্তি চেয়ে একটি স্মারকলিপিও জমা দেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement