প্রতীকী ছবি।
সকাল সাড়ে ৬টা। থানার কাজ শুরু হয়নি। কর্তব্যরত অফিসারের টেবিলের সামনে হাজির এক যুবক। পুলিশ কিছু জানতে চাওয়ার আগেই ব্যাগ থেকে এক মহিলার মুণ্ড বার করে টেবিলে রাখে সে। বলে, ‘‘এটা আমার স্ত্রীর মুণ্ড। আমি খুন করেছি। আমায় গ্রেফতার করুন।’’ সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে পাথরপ্রতিমা থানায়। পরে পুলিশ ওই যুবকের বাড়িতে গিয়ে মহিলার মুণ্ডহীন দেহটি উদ্ধার করে।
যুবতীর বাবা গৌর দাসের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিজিৎ দাস নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। সুন্দরবন জেলা পুলিশ সুপার তথাগত বসু বলেন, ‘‘প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে এই খুন করা হয়েছে।’’
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর চারেক আগে ওই এলাকার কুয়েমুড়ি গ্রামের রুমা দাসের সঙ্গে বিয়ে হয় লক্ষ্মীজর্নাদনপুরের অভিজিতের। তাঁদের আড়াই বছরের কন্যাসন্তান আছে। বিয়ের কিছুদিন পরে অভিজিৎ কাজের জন্য দিল্লি চলে যায়। পরে স্ত্রীকেও সঙ্গে নিয়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, বছর দু’য়েক ধরে অভিজিত অন্য এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল। তা নিয়ে রুমার সঙ্গে অভিজিতের প্রায়ই অশান্তি হত। স্বামী-স্ত্রীর গোলমাল থানা-পুলিশ পর্যন্তও গড়ায়। গ্রামে সালিশিও বসে। কিন্তু সমাধান হয়নি।
স্থানীয়েরা জানিয়েছেন, রুমার বোনের আজ, মঙ্গলবার বিয়ে। রুমার বাবা অভিজিতের কাছে কিছু টাকা পেতেন। সেই টাকা নিতে তিনি সকাল সাড়ে ৫টা নাগাদ হাজির হন বড় মেয়ের বাড়িতে। তিনি গিয়ে দেখেন, সামনের দরজায় তালা। বারান্দায় রক্ত জমাট বেঁধে রয়েছে। বাড়ির পিছনে গিয়ে তিনি দেখেন, মেয়ের মুণ্ডহীন দেহ পলিথিনে ঢাকা।