প্রতীকী ছবি।
তৃণমূলের নেতা বিকাশ মজুমদার ওরফে মাধুকে খুনে উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারে এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। শনিবার রাত পৌনে একটা নাগাদ পাইকপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃত সুকুমার দাস পেশায় গাড়িচালক। বাড়ি ওই এলাকাতেই। তাঁর সাত দিনের পুলিশ হেফাজত হয়েছে।
সুকুমারকে নিয়ে পুলিশের দু’রকম মত। পুলিশের একটি অংশের বক্তব্য, প্রাথমিক তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে সুকুমার সরাসরি খুনের ঘটনায় জড়িত। এক নাবালিকাকে ধর্ষণের জন্য ২০১৫ সালের জুনে সুকুমারের তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হয়। সেই মামলা মামলার অন্যতম সাক্ষী ছিলেন বিকাশবাবু। ৩৩ মাস জেলে থাকার পরে মার্চে সুকুমার জামিনে ছাড়া পান। ওই মামলায় সাক্ষী দেওয়ার অপরাধে সুকুমার সঙ্গীদের নিয়ে বিকাশবাবুকে খুন করেছেন বলে তদন্তকারী পুলিশের একাংশের সন্দেহ। কিন্তু পুলিশেরই আর একটি অংশের কথায়, বিকাশবাবুকে খুনের পিছনে অন্য অভিসন্ধি থাকতে পারে। সুকুমারের দাবি, ‘‘বিকাশবাবুকে খুনের ঘটনা সম্পর্কে আমার কিছুই জানা নেই। আমি নির্দোষ।’’
শুক্রবার রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ ইটাহারে বিকাশবাবু তাঁর ক্লাব থেকে মোটরবাইকে চেপে খামরুয়া এলাকার বাড়ি ফিরছিলেন। অন্য স্কুটিতে তাঁর যমজ দাদা প্রকাশবাবু এবং অন্য এক ব্যক্তি ছিলেন। তাঁদের চলে যেতে বলে তিনি পরিচিত পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করতে থানায় যান। সেখান থেকে ফেরার পথে দুষ্কৃতীরা বিকাশবাবুর রাস্তা আটকে তাঁকে গুলি করে। বিকাশবাবু যেখানে খুন হয়েছেন, সেখান থেকে ১০০ মিটার দূরে সুকুমারের বাড়ি।
বিজেপির জেলা সভাপতি শঙ্কর চক্রবর্তীর দাবি, ‘‘ধৃত যুবক আমাদের দলের কেউ নন। তৃণমূল বিজেপির বিরুদ্ধে বিকাশবাবুকে খুন করার মিথ্যা অভিযোগ তুলেছিল।’’ অমলবাবুর দাবি, ‘‘বিজেপির ষড়যন্ত্রে বিকাশবাবু খুন হয়ে থাকতে পারেন, তদন্ত শেষ হলেই স্পষ্ট হবে।’’