লঞ্চে গঙ্গাপাড় পরিদর্শনে বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রতিনিধিরা। মঙ্গলবার। —নিজস্ব চিত্র।
আদিগঙ্গা সংস্কারের চাহিদা অনেক দিনের। গঙ্গার সঙ্গে যোগ থাকায় ওই খালের জল পরিষ্কার থাকুক, চান অনেকেই। সেই চাহিদা মেটাতেই উদ্যোগী সরকার। জাতীয় গঙ্গা অববাহিকা কর্তৃপক্ষের (ন্যাশনাল গঙ্গা রিভার বেসিন অথরিটি অর্থাৎ এনজিআরবিএ) সহায়তায় তা করার পরিকল্পনা হয়েছে। নবান্ন সূত্রের খবর, এনজিআরবিএ-র মাধ্যমে বিশ্ব ব্যাঙ্কের সহায়তায় ওই কাজের প্রাথমিক কথা হয়েছে। আজ, বুধবার আদিগঙ্গা ঘুরে দেখবেন বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রতিনিধিরা।
মঙ্গলবার নবান্নে বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক হয় রাজ্যের মুখ্যসচিব, নগরোন্নয়ন সচিব, কলকাতা পুরসভার কমিশনার-সহ কেএমডিএ-র পদস্থ কর্তাদের। পরে নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের উপস্থিতিতে সল্টলেকে উন্নয়ন ভবনেও আদিগঙ্গা সংস্কার ও সৌন্দর্যায়নের প্রসঙ্গ ওঠে। নগরোন্নয়ন দফতর সূত্রের খবর, ঠিক হয়েছে, ড্রেজিং করে আদিগঙ্গার নাব্যতা বাড়াতে হবে। গঙ্গাপাড়ের ধাঁচে সাজানো হবে দু’পাড়। দফতরের এক আধিকারিক জানান, বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রতিনিধিরাও আদিগঙ্গা সংস্কারে আগ্রহ প্রকাশ করেন। তখনই ঠিক হয়, তাঁরা নিজেরা আদিগঙ্গা ঘুরে দেখবেন।
জাতীয় গঙ্গা অববাহিকা প্রকল্পে গঙ্গাপাড়ের সৌন্দর্যায়ন-সহ টালি নালার সংস্কার ও কলকাতার জঞ্জাল অপসারণের সিদ্ধান্ত হয়। এক পুরকর্তা জানান, হাওড়া ব্রিজের দক্ষিণ দিক বরাবর গঙ্গাপাড়ের সৌন্দর্যায়ন প্রায় শেষ। এ বার উত্তর কলকাতার দিকের গঙ্গাতীর সাজানোর হবে। এ ব্যাপারেও বিশ্ব ব্যাঙ্কের সহায়তা প্রয়োজন। তার আগে সরেজমিন দেখতেই শহরে এসেছেন বিশ্ব ব্যাঙ্কের ওই প্রতিনিধি দল। সোমবার রাতে তাঁরা মিলেনিয়াম পার্ক থেকে আর্মেনিয়ান ঘাট সংলগ্ন এলাকা ঘুরে দেখেন। এ দিন লঞ্চে ঘোরেন গঙ্গার দু’পাড়। সঙ্গে ছিলেন নগরোন্নয়ন দফতর ও পুরসভার আধিকারিকেরা। পুরসভা সূত্রের খবর, গঙ্গাপাড়ের সৌন্দর্যায়ন দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন ওই প্রতিনিধিরা। বিকেলে নবান্নে গিয়ে তা জানান মুখ্যসচিবকেও। তখনই তাঁরা জানান, হাওড়ায় গঙ্গার পাড় সাজাতে তাঁরা সহায়তা করবেন।
নগরোন্নয়ন দফতরের এক অফিসার জানান, এ দিন তাঁরা টালি নালাও ঘুরে দেখেন। তার সংস্কার নিয়ে এ দিন বৈঠকে আলোচনা হয়। জঞ্জাল অপসারণেও কলকাতাকে সহায়তা করতে বিশ্ব ব্যাঙ্ক প্রাথমিক ভাবে রাজি। এক পুর-আধিকারিক জানান, ওই প্রতিনিধি দল ফিরে গেলে প্রকল্প রিপোর্ট পাঠানো হবে এনজিআরবিএ-কে। পরে এনজিআরবিএ কোন শর্তে বিশ্ব ব্যাঙ্কের কাছ থেকে সহায়তা পাবে, তা নির্ধারিত হবে।