আদালতে গিয়ে সই দীপকের, তবু তিনি অধরাই

পুলিশের কাছে তিনি ফেরার। অথচ হাওড়া হোটেল কাণ্ডে অন্যতম মূল অভিযুক্ত দীপক সাউ আদালতে হাজির হয়ে নিজের আগাম জামিনের আবেদনে স্বাক্ষর করে গিয়েছেন বলে মঙ্গলবার দাবি করেছেন তাঁর আইনজীবীরা। এ দিন হাওড়া জেলা জজের আদালতে দীপকের আগাম জামিনের আবেদন করেন তাঁর দুই আইনজীবী সঞ্জয় গুপ্ত ও শুভেন্দু সাহা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০১৪ ০৩:৫৬
Share:

পুলিশের কাছে তিনি ফেরার। অথচ হাওড়া হোটেল কাণ্ডে অন্যতম মূল অভিযুক্ত দীপক সাউ আদালতে হাজির হয়ে নিজের আগাম জামিনের আবেদনে স্বাক্ষর করে গিয়েছেন বলে মঙ্গলবার দাবি করেছেন তাঁর আইনজীবীরা।

Advertisement

এ দিন হাওড়া জেলা জজের আদালতে দীপকের আগাম জামিনের আবেদন করেন তাঁর দুই আইনজীবী সঞ্জয় গুপ্ত ও শুভেন্দু সাহা। তাঁদের দাবি, দীপক এক জন সমাজসেবী। তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে তাঁর সামাজিক সম্মানহানি করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, তিনি ফেরার। অথচ তিনি হাওড়াতেই আছেন। এবং আদালতে হাজির হয়ে তিনি জামিনের আবেদনে সইও করে গিয়েছেন। আইনজীবীরা জানান, ১৪ জুলাই দীপকের ওই আবেদনের শুনানি হবে।

যিনি হাওড়াতেই আছেন এবং আদালতে হাজিরও হয়েছেন, পুলিশ তাঁকে ফেরার বলছে কী ভাবে?

Advertisement

হাওড়া সিটি পুলিশের এডিসি (উত্তর) শিবানী তিওয়ারি বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। পলাতক ব্যক্তি যদি অপরাধী না-হন, তা হলে প্রকাশ্যে আসুন। লুকিয়ে বেড়াচ্ছেন কেন?”

গত ২০ জুন তারিখ হাওড়ার ব্রিজ হোটেলের ম্যানেজার আশিস মান্নাকে মারধরের ঘটনায় জড়িয়ে পড়েন হাওড়া পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল সভাপতি দীপক সাউ। আশিসবাবু তাঁর বিরুদ্ধে গোলাবাড়ি থানায় মারধরের অভিযোগ দায়ের করেন। সেই ঘটনার দু’দিন পরে, ২২ জুন দীপকেরই শাগরেদ এবং আর এক সক্রিয় তৃণমূলকর্মী ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল যুবার প্রাক্তন সভাপতি রিয়াজ আহমেদের বিরুদ্ধে ব্রিজ হোটেলের মালিক সুমিত নাহাকে ফোনে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। সেই হুমকির পরেই তাঁর মৃত্যু হয়। সুমিতবাবুর পরিবারের অভিযোগ, দাবি মেনে তোলা না-দেওয়ায় সুমিতবাবুকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছিলেন দীপক ও রিয়াজ। পুলিশের কাছে তাঁরা সেই অভিযোগ দায়ের করে জানান, ওই হুমকির ফলেই সুমিতবাবুর মৃত্যু হয়েছে।

বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরে রাজ্য জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। ঘটনার দু’দিন পরে পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের অভিযোগ দায়ের করে। যে-হেতু ঘটনাটি হাওড়ার গোলাবাড়ি থানা এলাকার, তাই পরে বারাসত আদালতের নির্দেশে মামলার তদন্তভার পায় গোলাবাড়ি থানার পুলিশ।

এর মধ্যে পুলিশ দাবি করে, ২৯ জুন পটনা থেকে বাড়ি ফেরার পথে হাওড়া স্টেশন এলাকা থেকে রিয়াজকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আদালত রিয়াজকে সাত দিনের পুলিশি হাজতে রাখার নির্দেশ দেয়। পুলিশের ধারণা ছিল, রিয়াজকে ধরতে পারলে দীপকেরও পাওয়া যাবে। কিন্তু কার্যত তা না-হওয়ায় পুলিশ দীপককে ধরার জন্য হন্যে হয়ে তল্লাশি শুরু করে। কিন্তু মঙ্গলবার বেশি রাত পর্যন্ত তারা তাঁকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন