আমজাদের আশ্রয়দাতা জওয়ান কি বাংলাদেশি

খাগড়াগড়-কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত আমজাদ আলি শেখকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে সশস্ত্র সীমা বল-এর (এসএসবি) এক জওয়ানকে গ্রেফতার করা হল। আমজাদের সঙ্গে তাঁর কী সম্পর্ক, কেন তিনি তাঁকে বাড়িতে আশ্রয় দিলেন তা খতিয়ে দেখার জন্য ওই জওয়ানকে আজ দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করেন এনআইএ-র গোয়েন্দারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৪ ০৩:০৮
Share:

খাগড়াগড়-কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত আমজাদ আলি শেখকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে সশস্ত্র সীমা বল-এর (এসএসবি) এক জওয়ানকে গ্রেফতার করা হল। আমজাদের সঙ্গে তাঁর কী সম্পর্ক, কেন তিনি তাঁকে বাড়িতে আশ্রয় দিলেন তা খতিয়ে দেখার জন্য ওই জওয়ানকে আজ দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করেন এনআইএ-র গোয়েন্দারা।

Advertisement

বীরভূমের কীর্ণাহারের বাসিন্দা আমজাদ খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণের পর থেকেই নিখোঁজ ছিল। গোয়েন্দাদের দাবি, ৮ অক্টোবর সে দিল্লি পৌঁছয়। সেখান থেকে উত্তরপ্রদেশের বস্তি জেলায় এক এসএসবি কর্মীর বাড়িতে আশ্রয় নেয় সে। বর্তমানে এসএসবি-র লখনউ দফতরে নিযুক্ত থাকায় বস্তিতে বাড়ি ভাড়া করে থাকেন ওই এসএসবি কর্মী। নথিপত্র বলছে তিনি বীরভূমের বাসিন্দা। একই জেলার বাসিন্দা আমজাদ তাঁর পূর্বপরিচিত কি না, গোয়েন্দারা তা খতিয়ে দেখছেন।

এসএসবি-র একটি সূত্র আবার এ-ও বলছে, ধৃত ওই কর্মীর সার্ভিস বুকে বীরভূমের বাসিন্দা হিসেবে লেখা থাকলেও গোয়েন্দাদের সন্দেহ, আসলে তিনি বাংলাদেশের বাসিন্দা। পশ্চিমবঙ্গে এসে ভারতীয় নাগরিকত্ব জোগাড় করে এসএসবি-তে ঢুকেছেন। তাই আপাতত ধৃত ওই ব্যক্তির প্রকৃত পরিচয় ঠিক কী, সেটাই খতিয়ে দেখতে ব্যস্ত রয়েছেন গোয়েন্দারা। ২০১০ সালে এসএসবি-তে যোগ দেন ওই ব্যক্তি। তাঁর প্রথম পোস্টিং ছিল দ্বিতীয় ব্যাটালিয়নে।

Advertisement

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক মনে করছে, ওই ব্যক্তি যদি সত্যিই বাংলাদেশের নাগরিক হন এবং ভুয়ো পরিচয় দিয়ে নিরাপত্তাবাহিনীতে যোগ দিতে সক্ষম হন, তা হলে সেটা দেশের সুরক্ষার ক্ষেত্রে একটি বড় প্রশ্নচিহ্ন। কারণ, নিয়োগের আগে এই ব্যক্তিকে শুধু পুলিশ নয়, এসএসবি-ও ছাড়পত্র দিয়েছে। তাই সে ক্ষেত্রে এটাই প্রমাণ হবে যে, জামাতের শিকড় ছড়িয়ে পড়েছে দেশের নিরাপত্তা বাহিনীতেও। এ কথা মাথায় রেখেই এসএসবি-ও এ বারে তদন্তে নামছে, যার মূল লক্ষ্য হবে এই শিকড়ের খোঁজ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন