সারদা কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত সমস্ত নথি হস্তান্তর করতে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার পুলিশকে সময়সীমা বেঁধে দিল সিবিআই। ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে সব নথি সিবিআইয়ের হাতে তুলে না দিলে কড়া ব্যবস্থার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে সিবিআই। এ খবর সংবাদ সংস্থার।
সিবিআই সূত্রের দাবি, দুই রাজ্যের পুলিশই সারদা কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত সমস্ত নথি হস্তান্তর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। ইতিমধ্যে কিছু নথি তারা তুলেও দিয়েছে। কিন্তু সে সব নথি পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, তাতে বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যই মিলছে না। অথচ সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন, তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ-সহ সব ধৃত ব্যক্তিই জেরায় বারবার দাবি করেছেন, তাঁরা সমস্ত তথ্যপ্রমাণ রাজ্য পুলিশকে দিয়ে দিয়েছেন।
এখন সিবিআইয়ের তরফে অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকে বারবার সমস্ত তথ্য দিতে বলার পরেও কোনও লাভ হচ্ছে না। তদন্তকারীদের একাংশের আশঙ্কা, রাঘব বোয়ালদের বাঁচাতে গুরুত্বপূর্ণ সে সব তথ্য নষ্ট করা হচ্ছে। পুলিশের বিরুদ্ধে এ ধরনের কোনও কাজের প্রমাণ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছে সিবিআই।
কলকাতার খবর, সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন ও তাঁর স্ত্রী পিয়ালি সেনের যৌথ লকারে রাখা নথিপত্র এত দিন পরে তা হাতে আসতে চলেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর। এ বছর এপ্রিল মাসে সল্টলেকের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখায় ওই লকারে থাকা নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করে ওই শাখারই অন্য লকারে রেখে দিয়েছিল সল্টলেক পুলিশ। সেই সময় সারদা কাণ্ডের তদন্ত করছিল তারা। এ বার ইডি-কে ওই নথি উদ্ধারের অনুমতি দিল আদালত।
এ দিন আদালতে ইডি-র তরফে আইনজীবী ভাস্করপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, যে সময়ে পুলিশ আদালতের নির্দেশ নিয়ে ওই লকার ভেঙে ফেলে, সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ককে তার আগেই ওই লকার খুলে সারদার যাবতীয় নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করার নোটিস ধরিয়েছিল ইডি। কিন্তু ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ ওই সময়ে ইডি-কে জানিয়েছিল যে, লকার খোলার ব্যাপারে পুলিশের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। পরে অবশ্য পুলিশ ওই লকারটি খুলে তার ভিতরে থাকা সমস্ত নথি অন্য লকারে রাখে। এ নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ এনে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল ইডি।